বিক্ষোভের সামনে নতিস্বীকার করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সমস্ত অনুত্তীর্ণ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হল। সোমবার সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, রাজ্য সরকার ‘মানবিক’। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিবেচনা করে সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের মতো এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ হচ্ছে। গত ২২ জুলাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ হলেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁরা কোথাও ভাঙুচর চালিয়েছেন, কোথাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, কোথাও ঘেরাও করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষার ফল নিয়ে এত বিক্ষোভ হচ্ছে কেন, তা নিয়ে সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। যে পড়ুয়ারা পাশ করতে পারেননি, তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য সংসদ সভাপতিকে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর একাধিক স্কুলের হাতে ‘ফেল’ করা পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেয় সংসদ। তারইমধ্যে সোমবার সংসদের সভাপতি দাবি করেন, ফল প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভ চললেও তাতে সংসদের কোনও ভূমিকা ছিল না। বিক্ষোভে এমন পড়ুয়া ছিলেন, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলআপও করেননি। কয়েকজন পড়ুয়া এতটাই নম্বর কম পেয়েছেন যে মূল্যায়নের সময় তাঁদের পাশ করানো যায়নি। ব্যাখ্যা দিয়ে সংসদ সভাপতি দাবি করেন, বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করতে ২১ নম্বর পেতে হত। কলা বিভাগে সেই মাপকাঠি ছিল ২৪। কিন্তু অনেকেই এক অঙ্কের ঘরও পার করতে পারেননি। প্র্যাক্টিকালেও পেয়েছেন শূন্যও। তাই স্বভাবতই পাশ করানো সম্ভবপর হয়নি। শেষপর্যন্ত অবশ্য ‘মানবিক’ সরকারের তরফে সংসদ সেই পাশ করানো সম্ভবপর না হওয়া পড়ুয়াদেরও কলেজে ভরতির ছাড়পত্র দিয়ে দিল। মাঝে শুধু দিনদশেকের ব্যবধান থাকল।