জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পঞ্চগড়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠল এক ভারতীয় মহিলার বিরুদ্ধে। সেই ভারতীয় মহিলাকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। পরে যদিও বিজিবি সদস্যরা বুঝতে পারেন যে আটক ভারতীয় মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। এই আবহে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে ভারতীয় মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি সময় সকাল ১০টার সময় জলপাইগুড়ি থেকে সীমান্ত পার করেন সেই মহিলা। তিনি ওপারে চাকলাহাটায় গিয়ে পড়েন। সেখান থেকে বিজিবি সদস্যরা সেই মহিলাকে আটক করেন। (আরও পড়ুন: 🌠দিনহাটায় সীমান্তে বাংলাদেশিদের ঠেকিয়েছিল BSF, তারপরই BGB-র সাথে হল বৈঠক)
আরও পড়ুন: ꧒একজন পা পিছলে পড়ার জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮? নয়াদিল্লি কাণ্ডে রেলের যুক্তি…
প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজিবির জেরার মুখে পড়ে সেই মহিলা হিন্দিতে কথা বলছিলেন। এদিকে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করা হলে সেই মহিলা একেক সময় একেক নাম বলতে থাকেন। সেই মহিলা দাবি করেন, তাঁর বাড়ি দিল্লিতে। এদিকে তিনি দাবি করেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায়। তবে সেই মহিলার আচরণ ও কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখে সন্দেহ হয় বিজিবির। পরে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে ভারতে ফেরত পাঠানো হয় সেই মহিলাকে। (আরও পড়ুন: ♎ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের 'মা' বলে নিজেকে দাবি, কেই এই লেখিকা?)
আরও পড়ুন: ꦚ'আধঘণ্টা পরে পাই বোনকে, ততক্ষণে ও মরে গিয়েছে... রেললাইন পার করে দেহ নিয়ে যাই'
🙈উল্লেখ্য, বিগত দিনে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে মালদা সহ একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের গদিতে 'মুখ' পরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের সরকারের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।