৮০ বছর বয়সী অজিত কর্মকার। তিস্তা ব্যারাজে কর্মরত ছিলেন তিনি। তিন চারদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর সেই দেহ আগলে বসেছিলেন মৃতের স্ত্রী ও মেয়ে। মশারির মধ্যে ছিল দ✱েহটি। ঠিক যেন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কল♊েজপাড়া এলাকার ঘটনা।
🐻শুক্রবার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। তবে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের অভিযোগ, অজিত কর্মকারকে খুন করা হয়েছে। এরপরই মা মেয়েকে জু🌼তো দিয়ে পেটানোরও চেষ্টা করেন মৃতের বোন গীতা কর্মকার। পুলিশ ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকারকে আটক করেছে। ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কিন্তু কীভাবে জানাজানি হল বিষয়টি?
স্থানীয়দের দাবি, বার্ধক্যজনিত কারনে বিশেষ বাড়ির বাইরে বেরোতেন না অজিত কর্মকার। বিশেষ মিশতেনও না তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে🃏 দেখা যাচ্ছিল না। এদিকে কয়েকদিন ✤ধরেই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এনিয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরই বাড়িতে ঢুকতেই চক্ষুচড়ক গাছ। বাড়ি 🌌থেকে উদ্ধার হয় ♚অজিত কর্মকারের দেহ।
পুলিশ ইতিমধ্যে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে। মৃতের স্ত্রী ও মেয়েকে পুলিশ জেরা কর🐲ছে। কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃꦓত্য়ু হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
তবে বাসিন্দাদের দাবি, বৃদ্ধকে খুন করে বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। মৃতের বোন গীতা কর্মকারের অভিযোগ, দাদাকে বৌ💯দি আ🐼র ভাইঝি মিলে মেরে ফেলেছে। দাদা এই বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে প্রায়ই আমার বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করত।