ঝালদা পুরসভা নিয়ে সারাদিন চলল নাটক। তলবি সভা বাতিলের নোটিশ অস্বীকার করে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের হুইপকে উপেক্ষা করে পুরপ্রধান অপসারণের ভোটাভুটি হল ঝালদা পুরসভায়। অর্থাৎ অনাস্থা ঠেকানো গেল না। ভোটাভুটিতে অংশ নেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর। পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়–সহ ৫ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর এদিন ঝালদা পুরসভাতে অনুপস্থিত ছিলেন। পুরপ্রধানকে🌠 অপসারণের পক্ষে ভোট পড়েছে ৭টি। যদিও এই ভোট কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ক্ষমতা দখল 💫করতেই তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল।
এদিকে পুরপ্রধান একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তলবি সভার দিন ২৭ জানুয়ারি বদল করেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ১৭ তারিখই এই ভোট হয়ে গেল। ১৭ জানুয়ারি তলবি সভা ডাকা হয়। অনেকেই মনে করছিলেন এদিনꦡ ভোটাভুটি হবে এবং বহুদিন ধরে চলা জট কাটবে। কিন্তু সকালে ঝালদা পুরসভার দেওয়ালে দেখা যায় সভা বাতিলের একটি নোটিশ পড়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ তারিখে হবে এই বিশেষ সভা। আর পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া হুইপ জারি করেন। তবে সেই হুইপ উপেক্ষা করেই যা হওয়ার হয়ে গেল। এই বিষয়ে সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘এদি🌌নের ঘটনায় ঝালদা শহর তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছি। গোটা বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’
অন্যদিকে কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর তাঁর ভাইপো–সহ ৫ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। সেখান থেকে ঝালদা পুরসভায় সমস্যা শুরু হয়। ১২ আসনের এই পুরসভায় আপাতত ১০টি তৃণমূলের দখলে আছে। বাকি দুটি কংগ্রেসের। পুরপ্রধান পদে রয়েছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শীলা চট্টোপাধ্যায়। গত ২৩ নভেম্বর পুরপ্রধানের অপসারণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আদালতের যান তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু ও কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। একই দাবিতে ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরও আর একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোট করতে হবে। আর ১২ ডিসেম্বরে🐷র মধ্যে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। কিন্তু মামলাটি পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শীলাকেই পুরসভার দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাড়িতে পাঞ্জাবি স্ত্রী আছে’, রুজিরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ🔯 মমতা
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয় তৃণমূল কংগ্রেসে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই তলবি সভা অবৈধ। আমি এই বৈঠক পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলাম। আমি যথারীতি পুরপ্রধান হিসাবে কাজ করে যাব। তার প্রেক্ষিতে ওঁরা যদি কোনও♋ পদক্ষেপ করেন আমিও আইনি পদক্ষেপ নেব।’ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে খারিজ কর♏ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয়, পুরপ্রধানের প্রতি আস্থা না থাকলে পুর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে। তারপরেই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে ঝালদা পুরসভার পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর এবং কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর গোটা বিষয়টি ঘটান।