আর কয়েকদিন পর হবে আসানসোল পুরসভার নির্বাচন। তাই সব দলই প্রার্থী তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় উঠে এলো জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। আর মুহূর্তে তা চাউর হয়ে গেল। তাহলে কী আবার বিজেপি ছেড়ে টিকিটের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে জিতেন্দ্র তিওয়ারি? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি। আবার ফিরেছিলেন ঘাসফুলে। তারপর আবার গেলেন পদ্মফুলে।ঠিক কী ঘটেছে? এবার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর বিভ্রান্তি কাটলো তালিকায় ওয়ার্ড নম্বর দেখে। কারণ ওই তালিকার পাশে ছোট করে লেখা রয়েছে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। যা অনেকে খেয়াল করেনি। আর তাতেই ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে টিকিট পেয়েছেন জিতেন্দ্র। আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি আর এই জিতেন্দ্র তিওয়ারি এক নন। বিজেপির জিতেন্দ্র ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন। এভাবে ভুল ভাঙায় হাসির রোল উঠেছে আসানসোলে। এই জিতেন্দ্র তিওয়ারি বরাকরের মানবেড়িয়ার বাসিন্দা। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে সক্রিয় কর্মী। তবে এই বিষয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘নাম ও প্রার্থী প্রচারের ক্ষেত্রে আমার অ্যাডভান্টেজ নাকি ডিসঅ্যাডভান্টেজ, সেটা জানি না। তবে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। দল আমাকে সুযোগ দিয়েছেন প্রার্থী হওয়ার। লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছি।’উল্লেখ্য, বিজেপির জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবার বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হননি। তালিকায় তাঁর নাম নেই। বছরের শেষদিনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে বিজেপি। সেই তালিকায় নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম। তবে রয়েছে তাঁর আইনজীবি–সমাজকর্মী স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির নাম। তাঁর হয়ে তিনি প্রচারে থাকবেন বলে খবর।