আগে এমন ছবি দেখেনি বাংলা। মার্কিন দেশে এমন ভয়াবহ কাণ্ড দেখা যায়। বুধবার মালদার স্কুলে ঢুকে পড়েছিল বন্দুকবাজ। ক্লাস সেভেনের ঘরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই যুবক। হাতে খোলা বন্দুক। কোমরে আরও বন্দুক। পায়ের সঙ্গে বাঁধা ছুরি। টেবিলে পেট্রোল বোমা। ক্লাস ভর্তি পড়ুয়ারা। শিউরে উঠেছিল গোটা বাংলা। শেষ পর্যন্ত এক ডিএসপির তৎপরতায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। কিন্তু অত অস🍒্ত্র তিনি পেলেন কোথা থেকে?
নাম দেবকুমার বল্লভ। স্ত্রী বিজে꧟পির পঞ্চায়েত সদস্য। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি ফেসবুকে আগেও বন্দুক নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তখন গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাকে। ফের সেই বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়লেন ক্লাসরুমে। এদিকে বুধবার প্রায় সারারাত দেবকুমারকে জেরা করে পুলিশ। বন্দুক সে কোথা থেকে পেল? আত্মঘাতী হামলার কথাও সে জানিয়েছিল? তবে কি এর পেছনে বড় কোনও মাথা আছে?
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে বিহার থেকে সে বন্দুক আনিয়েছিল। জেরায় সে জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধ❀রেই সে এই পরিকল্পনা করেছিল। এদিনই সেই পরিকল্পনা সফল করতে সে অপারেশনে নেমেছিল। মোটা টাকা দিয়েই সে💙 সেভেন এমএম পিস্তল কিনেছিল। বৃহস্পতিবার মালদা আদালতে তোলা হয়েছিল তাকে। তবে পুলিশের একাংশ মনে করছেন এই ঘটনার পেছনে অন্য় কারোর মদত থাকতে পারে। কারণ তিনি যেভাবে বন্দুক ও পেট্রল বোমা জোগাড় করেছিলেন তা একার পক্ষে কিছুটা অসম্ভব। সেই সঙ্গেই ওই ব্যক্তি সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা সময় ব্যস্ত থাকতেন। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি কারোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন কিনা, আত্মঘাতী হামলার কোনও ভিডিয়ো দেখতেন কি না সেসব খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে বিহারের অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। তার মাধ্যমে সে অস্ত্র পেয়েছিল। তবে বাড়িতে আরও অস্ত্র 𝐆তার কাছে রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। মোটা টাকা দিয়ে এই অস্ত্র কিনেছিল। সেই 🐈টাকা সে কোথা থেকে পেয়েছিল সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
তবে গোটা ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। আগামী দিনে সে আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদে♏র সুরক্ষা কতটা বজায় থাকবে তা নিয়েও সংশয় দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। 𒁃HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক