যুবককে শুঁড়ে করে নদীতে আছড়ে ফেলে দিল একটি হাতি। আর তারপর হাতিটি কখনও জলে নেমে, আবার কখনও নদীর পাড়ে যুবককে আক্রমণের চেষ্টা করল। যুবকটিও কখনও জলে ডুব দিয়ে, আবার কখনও সাঁতার কেটে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলেন। এরকমই চলতে থাকল থাকল প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। কার্যত হাড়হিম করা ঘটনা । এরকমই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের গরবেতা এলাকায়। ওই যুবকের নাম পিন্টু গুড়িয়া। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভিকনগর গ্রামের শিলাবতী নদীতে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে শিলাবতী নদীতে বাবা ধীরেন গুড়িয়ার সঙ্গে পিন্টু মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শিলাবতী নদীতে। সেখানে যাওয়ার পথেই তাঁদের সামনে একটি দাঁতাল হাতি চলে আসে। এই ঘটনায় প্রাণ ভয়ে ধীরেন ছুটে পালালেও পিন্টু হাতির খপ্পর থেকে পালাতে পারেননি। এরপরে হাতিটি তাকে শুঁড়ে করে ধরে আছড়ে ফেলে নদীতে। রক্তাক্ত অবস্থায় পিন্টু নদী থেকে সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করেন।কিন্তু হাতিটি ওই যুবকের ছাড়ার বান্দা নয়। হাতিটি তাকে পালাতে দেয়নি। প্রায় এক ঘণ্টা এরকম চলতে থাকার পর শেষে হাতিটি সেখান থেকে সরে গেলে পিন্টু কোনওভাবে নদী থেকে উঠে বাড়ি যেতে সক্ষম হয়। রাতেই বাড়িতে তার চিকিৎসা করে পরদিন ভোরবেলায় গড়বেতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে পিন্টু সুস্থ রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে এরকম ঘটনায় পিন্টুর সাহসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তাকে বাহবা দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের কথায়, 'পিন্টু যদি এদিক-ওদিক সাঁতার না কাটত, বা জলে ডুব না দিত তাহলে হাতিটি তাকে প্রাণে মেরে ফেলত।