পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বগটুই গণহত্যার ফায়দা তুলতে মরিয়া সব রাজনৈতিক দল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ নৃশংস গণহত্যা আজ, মঙ্গলবার বছর পার করল। আজ গ্রামে শহিদ স্মরণ করবে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেস। আর গ্রামে মৌন মিছিল করবে সিপিএম। তাই বগটুই যাচ্ছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ, আজও মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পায়নি গণহত্যার শিকার সাতটি পরিবারের সদস্যরা। সেদিন ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুড়ে যাওয়াꦬ দেহগুলির শেষকৃত্য করা হয়েছিল।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই সিপিএম–বিজেপির বগটুই যাত্রা নিয়ে বিরোধীদের চড়া সুরে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘বগটুই ঘটনার পর ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার সর্বোতভাবে পাশে রয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা শকুনের রাজনীতি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গায়ে কাদা ছোড়ার চেষ্টা হচ্ছে। শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু বিরোধীদের আসল উদ্দেশ্যই হল শ্রদ্ধার্🙈ঘ্য নিবেদনের নামে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করা।’
ঠিক কী ঘটেছিল বগটুই গ্রামে? তারিখটা ছিল ২১ মার্চ, ২০২২। বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। প্রতিশোধ নিতে ওইদিন রাতেই ভাদু অনুগামীরা ১২টি ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় দশজনের। ২৪ মার্চ বগটুই গ্রামে এসে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে তৃণম♛ূল কংগ্রেসের তৎকালীন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন গ্রেফতার হয়। পোড়া মাংসের গন্ধে মুহূর্তে গোটা বাংলা জেনে গিয়েছিল বীরভূমের এই গ্রামটার নাম। তারপর ময়ূরাক্ষী দিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। রাজনীতির লড়াই থেকে সিবিআই তদন্ত পেরিয়ে বছর পার করল বগটুই গণহত্যা।