মাটির নীচে জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। একটা দিন এমন আসতে পারে যে কল খুললে আর জল পড়ল না। এই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই জলের অপচয় বন্ধ করতে এবং পরিবারপিছু কত জল খরচ করা হচ্ছে তার হিসেব রাখতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার পানিহাটি পুরসভায় শুরু হল বাড়ি বাড়ি ফ্লো–মিটার বসানোর কাজ। একইসঙ্গে সচেতন করা হচ্ছে নাগরিকদের।ꦏ জলের অপচয় রোখা গেলেই পরবর্তী সময়ে জল পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না।
ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাড়িতে ফ্লো–মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে সব বাড়িতেই জলের ফ্লো–মিটার বসানো হয়ে যা♊বে। তখন থেকে জল অপচয় হচ্ছে কিনা যেমন বোঝা যাবে তেমনই নাগরিকরা পরিশ্রুত পানীয় জলও পাবেন। সম্প্রতি প্রচণ্ড গরমের সময় এখানে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে পানিহাটি পুরসভা। গরমে যাতে মানুষ জলের সমস্যায় না পড়েন তাই এমন উদ্যোগ। এখানে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জলের সমস্যা তীব্র হয়েছিল। যার জেরে পানীয় জলের দাবিতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।
এদিকে পানিহাটি পুরসভা এলাকায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের বসবাস। বাড়ির সংখ্যাও প্রায় ৭৫ হাজার। জলের সংযোগের সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। এই পানিহাটি পুরসভার উদ্যোগে কয়েক বছর আগেই গঙ্গার জল পরিশোধন করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা শুরু হয়। অভিযোগ, সেটা নাকি চাহিদার তুলনায় কম। তারপর আসে পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে পানীয় জলের সংকট। তাই এবার পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত বাড়িতে ফ্লো–মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আম্রুত–২ প্রকল্পের ম🙈াধ্যমে এই ꦑকাজ করছে কেএমডিএ। পানিহাটির মতো অন্যান্য পুরসভাতেও এই ফ্লো–মিটার বসানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ‘সুজন চক্রবর্তীর নিজের বুথেও সিপিএমের হার🍰, ত💎ৃণমূলের জয়’, টুইট খোঁচা কুণালের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বহু মানুষ জানতে চাইছেন এই প্রকল্পের জন্য টাকা লাগবে কিনা। জলের জন্য পানিহাটি পুরসভা কর নেবে কিনা। তবে পুরসভার এর অফিসার জানান, শহরের অনেকেই জল অপচয় করেন। তাই পানীয় জল পান না। তাই ফ্লো–মিটার বসলে অপচয় ধরা যꦏাবে। পুরসভার জল বিভাগের চেয়ারম্যান তথা পরিষদের সদস্য তীর্থঙ্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ফ্লো–মিটার বসালে নানা ওয়ার্ডের চাহিদা বোঝা যাবে। তারপর সেখানে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। তাতে জলের অপচয় বন্ধ হবে। আর এই ফ্লো–মিটার বসানোর জন্য পুরসভার বাসিন্দাদের কোনও টাকা লাগবে না। এখন চারটি ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও করা হবে।’