চলন্ত ট্রেন থেকে আচমকাই নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন এক যাত্রী। গেটম্যানের তৎপর♎তায় জীবন বাঁচল ওই যাত্রীর। প্রাণে বাঁচলেও ওই যাত্রীর কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই যাত্রীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তা জানার চেষ্🙈টা করছে রেল পুলিশ।
রাজস্থানের বারমেঢ় থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল বিকানির এক্সপ্রেস। স🌳েই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন ১৬ নম্বর রেল গেটের কাছে। জানা গিয়েছে, ১৬ নম্বর গেট পার করার পরেই ওই যাত্রী আচমকা ট্রেন থেকে পড়ে যান। ট্রেনে কর্তব্যরত আরপিএফের নজরে আসে বিষয়টি। তখন ১৭ নম্বর রেল গেট ট্ꦫরেনটি পার করার সময় ও𓂃ই গেটের গেটম্যানকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার বিষয়টি চিৎকার করে জানান ওই আরপিএফ। তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আদমি গির গ্যায়া।’ তখন সেখানকার গেটম্যান তিলক দাস বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তৎপরতার সঙ্গে ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যান দৌড়ে গিয়ে দেখেন নদীতে একজন পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় এবং আরপিএফের চেষ্টায় অবশেষে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
কোমরে গুরুতর চোট পেয়েছেন ওই যাত্রী। দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না। নিজের পরিচয়টুকুও বলতে পারছেন না। কীভাবে ওই যাত্রী ট্রেন থেকে পড়লেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও ওই যাত্রী কোনওভাবে জানতে পেরেছেন যে তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে প্রচুর মালপত্র থাকায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দরজা থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যান। তার সঙ্গে একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। গেটম্যান তিলক দাস ෴জানান, ‘ট্রেনটি যাওয়ার সময় একজন আরপিএফ চিৎকার করে বলছিলেন কেউ একজন পড়ে গিয়েছে। তা শুনেই আমি ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। অবশেষে ওই যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ যাত্রীকে উদ্ধারের জন্য গেটম্যান যেভাবে তৎপরতা দেখিয়েছেন তাতে তাঁকে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই।