করোনা পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রেলকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চালানো হচ্ছে হাতে–গোনা কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন। আর তাতে ওঠার দাবিতে জেলায় জেলায় ব🌄িক্ষোভে সরব হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর স্টেশনের পর এবার হুগলির খন্ন্যান ও পাণ্ডুয়া স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন সাধারণ যাত্রীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ প্রথমে পাণ্ডুয়া স্টেশনে স্পেশ্যাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে ꦅশুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ট্রেনে ওঠার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর পরই একই দাবিতে সকাল ৯টা নাগাদ খন্ন্যান স্টেশনে শুরু হয় অবরোধ। রেললাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, সাধারণ মানুষের জন্য রেল পরিষেবা চালু করতে হবে। কয়েকজন রেলকর্মী বা স্বাস্থ্যকর্মী ট্রেনে উঠতে পারলেও তাঁদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা চলতে দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই নিত্যযাত্রী। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য তাঁদের কাছে সব থেকে সুবিধার মাধ্যম ট্রেন। তাঁদের কথায়, লকডাউনের পর এখন আনলকে তাঁদের কাজকর্ম ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে। কর্ꦺমক💛্ষেত্রে পৌঁছতে নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁদের একমাত্র ভরসা এই রেল পরিষেবা। কিন্তু সেটা তাঁরা পাচ্ছেন না। তাঁরা দাবি তোলেন, সাধারণ মানুষের জন্য অবিলম্বে রেল পরিষেবা চালু করতে হবে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিআরপি এবং আরপিএফের আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এদিন সকাল থেকে হাওড়া–বর্ধমান লাইনে মেন শাখায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিজেপি–র ‘নবান্ন চলো’ অভিযানের দিন সোনারপুর স্টেশনে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। স্পেশ্যাল ট্রেনের পথ আটকে সোনারপুর মন্দিরতলার একদল বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ট্রেনে চড়ার দাবিতে স্টেশনে, ট্রেনে ভাঙচুরও চাꦍলান তাঁরা। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করে আরপিএফ।