তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু সম্প্রতি দলের অন্দরে একটা নতুন হাওয়া উঠতে শুরু করেছিল যেখানে দাবি করꦰা হচ্ছিল পরের মুখ্য়মন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকী অভিষেককে ডেপুটি করার পক্ষেও কেউ কেউ মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন। সেটা একেবারে ক্যামেরার সামনে। এনিয়ে নꦰানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে সব জল্পনার অবসান। আর সেখানে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের জন্য় একটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব স্থির করা হয়েছে। তিনি দিল্লির রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলবেন। আর তাঁর সেই টিমে থাকছে কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব।
এবার প্রশ্ন তবে কি রাজ্য রাজনীতি নিয়ে আর কথা বলতে পারবেন না অভিষেক? এনিয়ে সুস্পষ্൲ট কোনও জবাব মেলেনি। তবে অপর মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না বিষয়টি তেমন নয়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কোনও বিষয়ে যুক্তিযুক্ত মনে হলে তা নিয়ে বলার অধিকার অভিষেকের রয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্𒁃দ্যোপাধ্য়ায়ের বাসভবনে জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে ছিলেন অভিষেক। এরপর তিনি সন্ধ্য়ার বিমানে দিল্লি যান।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে. অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ডানা ছাঁটা হয়েছে এমনটা নয়। তবে এতদিন ধরে মমতার নেতৃত্ব নিয়ে💧 য🅘ে সংশয় তোলা হচ্ছিল, অভিষেক আসার পরে দলে শৃঙ্খলা আসছে এমনটা বলছিলেন কেউ কেউ সেই বক্তব্যেই রাশ টনা হল দলের পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গেই মমতার দীর্ঘদিনের যে সঙ্গীরা হয়তো অনুভব করছিলেন দলে তাঁদের গুরুত্ব কমছে তাঁদেরকে ফের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসালেন মমতা। নবীন প্রবীণের যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল দলের অন্দরে সেখানেও ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন খোদ সুপ্রিমো।
এমনকী শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যও 🐲তিনটি কমিটি করা হয়েছে। তিনটি পৃথক কমিটি থেকে তিনটি চিঠি গেলে সংশ্লিষ্ট নেতাকে সাসপেন্ড করা হবে। এতটা কড়া এবার মমতা।
সংসদের জন্য গঠিত কমিটিতে থাকছেন সুদীপ ব্যানার্জি, ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যান ব্যানার্জি সহ কয়েকজন। বিধানসভার জন্য গঠিত কমিটিতে থাকছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, অরূপ বিশ্বাস ফিরহাদ হাকিꦑম চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দলীয় স্তরের কমিটিতে থাকছেন সুব্রত বক্সি, অরূপ বি𒁏শ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।