ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। দেশজুড়ে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বাংলার সীমান্তেও নজরদারি বাড়িয়েছে বাড়িয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কাঁটাতার বা খোলা সীমান্ত পেরিয়ে কোনওভাবেই যাতে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের ঢুকতে না পারে, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বিএসএফের। সীমান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকালই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে ছুটে যান বিএসএফের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। যুদ্ধের আবহে সীমান্তে সবসময়ের জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জওয়ানদের। সেই পরিস্থিতিতে নদিয়ার সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন ১৬ জন বাংলাদেশি। এছাড়াও, স্থানীয় এক দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধানতলা থানার সীমান্ত পেরিয়ে ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। ধৃতদের মধ্যে পুরুষ-নারী উভয়ই রয়েছেন। সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই এই বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এরপর ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বারানবেরিয়া নিরালা পাড়া এলাকায় ওই বাংলাদেশিরা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তে উঠে আসে ওই বাংলাদেশি নাগরিকরা কয়েক মাস আগে ভারতীয় এক দালালের সহযোগিতায় এ দেশে প্রবেশ করেন।
ধৃতরা এখানে আসার পর ভিনরাজ্যে কাজে চলে যান। পুলিশের তরফে জানানো হয়, গতকাল রাতে ওই বাংলাদেশিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন ধানতলা থানার পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা রুজু করে পাঠানো হয় রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করার জন্য এক দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাতে আরও অনেকে জড়িত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ। এর জন্য যেমন পায়ে হেঁটে বিএসএফ জওয়ানরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন, তেমনই বাইকে, সাইকেলে অথবা গাড়ি ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি নদীপথে ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিড বোট। এছাড়াও যেসব উন্মুক্ত সীমান্তে নদী রয়েছে, সেখানেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি।