পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি দিল না পুলিশ। পটাশপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে প্রতিবাদে সেখানে শুভেন্দুর সভা করার কথা রয়েছে। তার জন্য বিজেপির তরফে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। তবে পুলিশ এই আবেদন মঞ্জুর করেনি। যদিও পুলিশের বক্তব্য, আবেদন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে শ♓ুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। অনুমতি না দেওয়ার জন্য শাসক দলকেই দায়ী করেছে বিজেপি।
ময়নার বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার খুনের প্রতিবাদে ♍পূর্ব মেদিনীপুরের ১০০ টি জায়গায় প্রতীকী অবরোধ করা হয়। সেই মতো পটাশপুরে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। কিন্তু পুলিশ সেই অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, সিভিক কর্মী এবং পুলিশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে ঘটনা বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক আহত হন। এই ঘটনার পরেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ময়না থেকে ঘোষণা করেন, আজ পটাশপুর থানা অভিযান করা হবে। শুভেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিভিক কর্মীদের কাজে লাগিয়ে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন শুভেন্দু অধিক🧸ারী। কিন্তু, তার আগে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির কাঁথির সাংগঠনিক জেলার পটাশপুর দুইতলা বাজার দুর্গাপূজা কমিটির মাঠ সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। তবে আবেদন ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তাদের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এ বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনি♎ক জেলার বিজেপি সভাপতি অসীম মিশ্র বলেছেন, ‘যতই বাধা দেওয়া হোক বিজেপির সভা হবে। বিজেপির সভা জনজোয়ারে পরিণত হবে।’ এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র পীযুষকান্তি পাণ্ডা বলেন, ‘পুলিশ কাকে অনুমতি দেবে কি দেবে না এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। এলাকার পরিস্থিতি বুঝে পুলিশ অনুমতি দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই।’