পুজোয় উত্তরবঙ্গ যাবেন ভাবছেন? পাহাড় থেকে ফেরার পথে এবার বেড়ানোর তালিকায় রেখে দিন কোচবিহারের নাম। এনজেপি থেকে বাসে অথবা গাড়িতে চলে আসুন কোচবিহার। ট্রেনেও আসা যায়। রাজার শহর কোচবিহার। এই শহরের পরতে পরতে লেখা আছে ইতিহাস।রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির। সাগরদিঘির প🐭াড়। উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে দুটো দিন রেখে দিন কোচবিহারের জন্য।
আর পুজোর চারদিনের মধ্যে হলে তো💫 কথাই নেই। দেবী বাড়িতে গিয়ে বড়দেবীকে দর্শন করুন।অন্তর থেকে পুজো দিন। জেনে নিন দেবীর পুজোর অভিনব কিছু রীতি। ভক্তদের বিশ্বাস মন থেকে ডাকতে পারলে মনস্কামনা পূরণ করেন বড়দেবী। মনের ইচ্ছা পূরণ করেন কোচবিহারের প্র꧃াণের ঠাকুর মদনমোহন।
কোচবিহার বেড়ানোর জন্য দুদিনের ﷺপরিকল্পনা করতে পারেন। রাতে কোচবিহারে পৌঁছে পরের দিনের জন্য একটা বেড়ানোর পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন। তবে শহরের দ্রষ্টব্য জায়গাগুলো টোটেতেই ঘুরে নিতে পারেন। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চলে যেতে পারেন সাগরদিঘির পাড়ে। চারপাশে প্রশাসনিক ভবন। মাঝে সুবিশাল দিঘি। সকালে ব্যস্ততা শুরু হয় না তখনও। সেই সময় অপূর্ব লাগে এখানকার পরিবেশ।
সেখানে কিছুক্ষ♋ণ🧔 কাটিয়ে চলে যান কাছেই মদনমোহন মন্দির। মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের আমলে ১৮৮৫-১৮৮৯ সালে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির।শ্বেতশুভ্র মন্দির। বৈরাগী দিঘির উলটো দিঘি এই মদনবাড়ি। কোচবিহারবাসীর প্রাণের ঠাকুর শ্রী মদনমোহন রয়েছেন এখানে।রাসযাত্রা, দো🐻লযাত্রা, জন্মাষ্টমী এখানে উৎসবের চেহারা নেয়।
অবশ্যই যাবেন কোচবিহার রাজবাড়ি। ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের আমলে তৈরি এই সুবিশাল প্রাসাদ।এই প্রাসাদ দেখলে অনেকের রোমের সেন্ট পিটার্স গির্জার কথা মনে পড়ে যায়।অপূর্ব স্থাপত্য আর 🌺ত🌳ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজ আমলের ইতিহাস। রাজবাড়িতে পা দিলেই অনুভব করবেন সেই সোনালী অতীতের দিনগুলো। রাজবাড়ি দেখতেই অনেকটা সময় কেটে যাবে আপনার।
এরপর কাছেপিঠে হেরিটেজ মন্দিরগুলি দেখে নিতে পারেন। ব্রাহ্মমন্দির, ডাঙ্গরাই মন্দির, কামতেশ্বরী মন্দির। এরপর যাত্রীবাহী গাড়িতে চেপে আধঘণ্টার মধ্যে চলে চলে যাতে পারেন বাণেশ্বর মন্দির দর্শনে। মন্দির যাওয়ার জন্য গাড়িও ভাড়া করতে পারেন। এখানেই রয়েছে সেই মোহনের দল। মন্দির সংলগ্ন দিঘিতে রয়েছে এই কচ্ছপগুলি। সারাদিন খুব ভালো করে কাটবে। সন্ধ্যেবেলা আবার মদনমোহন মন্ꦯদিরের আরতি দেখতে যান। ঠাকুরের দিব্যরূপ দেখে চলে যান সাগরদিঘির পাড়ে। কিছুক্ষণ বসে থাকুন। মন ভালো হয়ে যাবে। কোচবিহারে না এলে অপূর্ণই থেকে যাবে আপনার উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ।