💮 বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এপার বাংলা তথা ভারতেও সন্ত্রাস ছড়াতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে জঙ্গিরা, তারই আরও একটি প্রমাণ পাওয়া গেল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এত দিন মুর্শিদাবাদে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর গতিবিধি বাড়ার কথা সামনে এলেও, এখন শোনা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে প্রভাব বিস্তার করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আরও একটি বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন।
﷽পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ওই জেহাদি গোষ্ঠীর নাম - হিজবুল তাহেরি। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, সমশেরগঞ্জ, সুতি এবং ধুলিয়ানে এই গোষ্ঠীর জঙ্গি সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। যা জানার পর খুব স্বাভাবিকভাবে ঘুম ছুটেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের।
꧒গোয়েন্দা সূত্রে সামনে আসছে এই গোষ্ঠী সম্পর্কিত একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর। সেই অনুসারে, খুব সম্প্রতিই নাকি হিজবুল তাহেরির কয়েকজন নেতা মুর্শিদাবাদে এসেছিল।
ꦍজঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের কাছে 'ইন্টেলিজেন্স ইনপুট' এসেছিল। এবং সেই মতোই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
✨তদন্ত সূত্রে আরও উঠে এসেছে, এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় হিজবুল তাহেরির ৪০টিরও বেশি স্লিপার সেল থাকার সম্ভবনা রয়েছে! কিন্তু, চিন্তার কারণ শুধু এটুকুই নয়। পড়শি রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান অরাজতকার সুযোগ নিয়ে এপার বাংলাকেও রক্তাক্ত করতে চাইছে কট্টরপন্থীরা।
𝓰সূত্রের দাবি, সীমান্তের ওপারে এমন অসংখ্য তথাকথিত মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে ধর্মের পাঠ দেওয়ার আড়ালে আসলে তরুণদের মগজধোলাই করা হচ্ছে, তাদের অস্ত্র চালাতে এবং বিস্ফোরক তৈরি করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এবং জঙ্গিপাঠ নেওয়া এই তরুণ জেহাদিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে 'ভারতীয় পরিচয়পত্র'!
🦩ভারতের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীরা কী ভয়ঙ্কর ও গভীর ষড়যন্ত্র যে করছে, এই তথ্যাবলী থেকেই তা স্পষ্ট। কিন্তু, হাত গুটিয়ে বসে নেই এপারের গোয়েন্দা সংস্থা, প্রশাসন এবং পুলিশও।
⛦প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের কয়েকটি থানা এলাকাকে বেছে নিয়ে সেইসব জায়গায় প্রথমে সংগঠন বিস্তার করার পরিকল্পনা করেছে হিজবুল তাহেরি। এক্ষেত্রে স্লিপার সেলগুলিকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে জেলায় ঠিক কতগুলি স্লিপার সেল সক্রিয় রয়েছে, মুর্শিদাবাদের কোনও বাসিন্দা সেগুলির সঙ্গে যুক্ত কিনা, সেইসব তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা।
💦তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, ধুলিয়ান এবং ফরাক্কায় হিজবুল তাহেরির দু'জন সংগঠক ছিল। স্থানীয় যুবকদের ভুলভাল বুঝিয়ে যাতে দলে টানা যায়, তার জন্য এই দুই সংগঠককে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছিল বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার সদস্যরা।
🌱সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে উঠে আসে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হিজবুল তাহেরির শীর্ষ নেতারা মুর্শিদাবাদের এসেছিল! আর এই সমস্ত অপকর্ম যাতে সুষ্ঠুভাবে সারা যায়, সেই দায়িত্ব নিয়েছিল আমির নামে ধুলিয়ানের এক বাসিন্দা।