সোমবার রাতের পর আর নতুন করে অশান্তি ছড়ায়নি রিষড়ায়। তবে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণেই থাকে তার জন্য তৎপর প্রশাসন। সোমবার রাতে যে ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, সেই এলাকায় আরপিএফ রুটমার্চ করেছে গতকাল। আজও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরপিএফ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে রিষড়া জুড়ে মোতায়েন হয়েছে ৭০০ পুলিশকর্মী। পুলিশের সঙ্গে পথে নেমেছেন র্যাফ এবং ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার্স রাইফেলস। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা বাহিনীও রাস্তায় টহল দিচ্ছে। (আরও পড়ুন: বৃহস্পতিতে কর্মবিরতি ডিএ আন্দোলনকারীদের, ভোগান্তি পোহাতে🎃 হবে আম জনতাকে?)
উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্যপাল রিষড়া পরিদর্শনে এসেছিলেন। এরপর আর গতকাল অশান্তি ছড়ায়নি রিষড়ায়। তবে ১৪৪ ধারা জারি ছিল গতকাল। আজও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তাও পুলিশের তরফে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরতে মানুষনকে বারণ করা হয়েছে। বন্ধ অধিকাংশ দোকান। থমথমে পরিস্থিতি পাড়ায় পাড়ায়। এই আবহে গলির মোড়ে মোড়ে পুলিশি পিকেট বসানো হয়েছে। জমায়েত দেখলেই সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এদিকে রেললাইনে পাথর তুলে যাতে তা ছোড়া না হয়, সেদিকে নজর রেখেছে আরপিএফ। এর জন্য ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় ক্যাম্প করেছে আরপিএফ। এদিকে 🐼পরপর অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রিষড়ায় গোলমালের পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ♑শাহকে চিঠি লিখেছিলেন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষও। এই আবহে কেন্দ্রের তরফে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই হিংসার ঘটনা নিয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হল।
আরও পড়ুন: ডিএ প্রতিবাদে নয়া মোড়, হাই কোর্টে নতুন করে মামলা সরকারি কর্ম♎ীদের সংগঠনের
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শ্রীরামপুর এবং রিষড়া থানা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। এদিকে মঙ্গলবার রিষড়া থানায় পৌঁছন পশ্চিমাঞ্চলের আইজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্তারাও। এদিকে তকাল দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে রিষড়ায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। ৪ নম্বর রেলগেট এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। এদিকে রিষড়া স্টেশন এলাকায় ভাঙচুর এবং অগ্নিকাণ্ডের জেরে ৪ নম্বর রেলগেটের একাংশ ভেঙে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রেলসুরক্ষা বিভাꩲগের তরফে সেটি বদলানো হয়।