সামনে বড়দিন। তার আগে প্রতিবছরের মতো এবারও সেজে উঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ। বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরই ব্যান্ডেল চার্চের সামনে মেলা বসে। সেখানে পসরা সাজিয়ে বসেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে বড়দিনের আগেই সেখানে ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একাধিক দোকান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেখানে আগুন লাগে। এর ফলে কমপক্ষে মেলায় বসা ৭টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ছোটোদের খেলনা, ইমিটেশন, চশমা, চুরি মনোহারির দোকান এদিন পুড়ে যায়। এর ফলে ওই ব্যবসায𓆏়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেষ্টপুরে তে🏅লেভাজার দোকানে বিস্ফোরণ, দ♛গ্ধ নয়, কারণ খুঁজছে দমকল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুন লাগে। প্রথমে একটি দোকানে আগুন লাগে। এরপর দ্রুত অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি কালীতলা জেলে পাড়ার বাসিন্দারা জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু, আগুন আয়ত্তে আনা যায়নি। খবর দেওয়া হয় দমকলে। পরে খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং চুঁচুড়া থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের ফলে দোকানের সবকিছু পুড়ে যাও🥃য়ায় শোকাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। খরব পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে চুঁচুড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর🏅 অনিন্দিতা রাজবংশী মণ্ডল এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জয় পাল ঘটনাস্থলে যান।
অনিন্দিতা জানান, প্রতি বছর বড়দিন উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় ব্যান্ডেল চার্চে।🌳 এখানে মেলায় ভালোই বেচাকেনা ভালোই হয়। ঋণ নিয়ে দোকান সাজান বিক্রেতারা। আগুনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বপন নাথ, জিতেন কর্মকার, ভূবন শিকারী, সুকুমার মণ্ডল, দেবু মণ্ডল প্রমুখ দোকানদার। আগুনে সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। জিতেন বাবু জানান, তিনি গত পঁচিশ বছর ধরে মেলায় খেলনার দোকান করে আসছেন। বড় দিনের মেলার জন্য কলকাতা থেকে লক্ষাধিক টাকার খেলনা তুলেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘সব পুড়ে শেষ হয়ে গেল। সেই দোকান পুরে ছাই হয়ে গিয়েছে।’ যদিও কীভাবে আগুন লাগল তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ২৩ তারিখ মেলার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা। তার আগেই এই আগুন। এটি নিছক দূর্ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।