করোনাকালে তিনবছর ধরে বন্ধ ছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। সাধারণ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই মেলার আয়োজন করে থাকে। তবে গত বছর পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হল🌳েও তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের কোনও ভূমিকা ছিল না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এবার পুরনো ছন্দেই ফিরতে চলেছে শান্তিনিকেতনের সেই পৌষমেলা। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এবার বীরভূমে পৌষমেলা হতে চলেছে। আর এবার এই মেলা তিন দিনের বদলে চলবে ৬ দিন ধরে। সোমবার রাজ্য প্রশাসন এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করল অসম সরকার, শঙ্করদেবক🤪ে স্মরণ!
বৈঠকে কর্তৃপক্ষকে সবরকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা ও রাজ্য প্রশাসন। সোমবার শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বিশ্বভারতীর আহ্বানে এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজ🌱ল শেখ সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। এছাড়া বিশ্বভারতী তরফে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার সহ অন্যান্যরা।💯
এদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘এবার পৌষ উৎসব সফল করতে হবে। আগের চেয়েও ভালো করতে হবে।কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। আমাদের তরফে প্রশাসনিকস্তরে সবরকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস বিশ্বভারতীকে দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে, এদিন বৈঠকে শেষে ৩ বছর পৌষমেলা বন্ধ থাকা নিয়ে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেন জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বলেন, ‘এতদিন বিশ্বভ♐ারতীর একটা অংশের জন্যই এই পৌষমেলা বন্ধ ছিল। তবে বর্তমান উপাচার্য ভালো মানুষ। ঐতিহ্যের সঙ্গে আপোষ করা হবে না। যে কোনও সহযোগিতা করতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত।’