একদিকে বর্ধমান হাসপাতালে ৯ জোড়া যমজ বাচ্চা জন্মগ্রহণ করছে। অপরদিকে শিলিগুড়ি হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে সদ্যোজাতের মৃতদেহ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন শিশুর পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে এসে শোকের খবর শোনার পরও শিশুর দেহ নেওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় পরিবারের সদস্যদের। আজ বৃহস্পতᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিবার যখন জেলা হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে তখন উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি 🐼বেগতিক দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার অমিত দত্ত।
এমনিতেই রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে বিরক্ত সাধারণ মানুষ। তার উপর আজ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে গেল এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ। বুধবার শিলিগুড়ির গোয়ালাপট্টির বাসিন্দা রিয়া গুপ্তকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন চিকিৎসক জানান, গর্ভেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারপর বুধবার রাতে মৃত পুত্রসন্তান প্রসব করেন ওই মহিলা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেটা জানানো হয়। 💎তখন তাঁরা শিশুটির দেহ নিতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির দেহ হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ, যা তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা
কিন্তু অপেক্ষার প্রহর কিছুতেই কাটছিল না। পরিবারের সদস্যরা নানা কাকুতি–মিনতি করতে থাকেন। নানা জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু কেউ তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি বলে অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও তাদের হাতে শিশুর দেহ তুলে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বহুক্ষণ অপেক্ষার পর শিলিগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিশুর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়, সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই কথা শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়🔯েন পরিবারের সদস্যরা।
এই কথা শোনার পর মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা চিৎকার জুড়ে দেন। তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের মারমুখী মেজাজে ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনার পর শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপার অমিত দত্ত বলেন, ‘এই ঘটনা কেমন করে ঘটল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সময় যাঁরা কর্তব্যরত ছ♌িলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’ এই ঘটনার খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশও। এই বি🀅ষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকেও।