প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এবার শিলিগুড়িতে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার প♎্রাক্কালে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় রুটমার্চও শুরু করেছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলায় তিনদিন সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেখানে আরামবাগ, কৃষ্ণনগরে সভা করা হয়েছে। আর বুধবার সভা হওয়ার কথা বারাসতে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকছে না মোদীর বঙ্গ সফর। বিজেপি সূত্রে ⛦খবর, আগামী শনিবারই আবার বাংলায় আসতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তখন তাঁর গন্তব্য হবে উত্তরবঙ্গ।
এদিকে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এনে শিলিগুড়িতে জনসভা করার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা আছে। প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে একটি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তাই দলীয় প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’ আর বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর কথায়, ‘৯ মার্চ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করার জন্য আসতে পারেন। আমরা দলীয়ভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছি।’ তবে ৬ মার্চ বারাসতের কাছারি মাঠꦕে নারী দিবসের আগে বুধবারের সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: তাপস রায়��ের মান ভাঙাতে দূত হয়ে গেলেন ব্রাত্য–কুꦺণাল, তৃণমূলে এখন কঠিন অঙ্ক
অন্যদিকে নির্বাচন ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা প্রধানমন🍌্ত্রীর উত্তরবঙ্গ–সহ রাজ্য সফরে নিরাপত্তার দিকটি অন্যতম কারণ। বিজেপির নেতা–কর্মীদের খোলা মনে ভোটের প্রস্তুতি ও জনসংযোগ বাড়ানোর দিকও আছে। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে♋ই কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় এসে যাওয়ায় প্রত্যেকটি জেলায় দলের নেতা–কর্মীদের মনোবল বাড়বে বলে মনে করছে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সর্বত্র বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। সেটা এবার হবে না বলে মনে করছে বিজেপি। শিলিগুড়িতেও সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন তিনি। ওই দিন সেখানে একটি জনসভা করার কথা তাঁর।
এছাড়া শনিবার জাবরাভিটায় শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের দ্বিতীয় ক্𒈔যাম্পাসে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয়। হলদিবাড়ি থেকে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী শিলিগুড়িতে পৌঁছয়। এলাকায় তাদের টহল দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দার্জিলিং জেলায় পাঁচ কোম্পানি, জলপাইগুড়ি জেলায় ১০ কোম্পানি এবং কাল🎃িম্পং জেলায় চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে ৯ তারিখ যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর সভা হয় তাহলে তার পরদিনই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড তথা জনগর্জন সভা।