সোনারপুরে এবার হিংসার ঘটনা ঘটল। এখানের চৌহাটিতে বিজেপি কর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা, ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন গোবিন্দ অধিকারী নামে এক বিজেপি কর্মী। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ১৮৯ নম্বর বুথে তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন বলে সূত্রের খবর। গোবিন্দ অধিকারীর স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং ছেলে গৌরব অধিকারীর উপরেও হামলা করা হয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ꦍভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আজ, শনিবার ভোরে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মূল অভিযুক্তকে আজ, শনিবার সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম অর্চন ভট্টাচার্য। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। গোবিন্দ অধিকারীর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্র🌠কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। তবে বাড়িতে গোবিন্দের কন্যা থাকলেও তাঁর উপর হামলা হয়নি। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গোবিন্দ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে। দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের তি🐓নজনের মৃত্যু, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মা–বাবা–ছেলের জীবন শেষ
অন্যদিকে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর ছেলে সুমিত দেবনাথকে। পুলিশের অনুমান, এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক গোলমাল। কদিন আগে কুকুর মারা যাওয়া নিয়ে এই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। সেই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। তখন থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি বৃদ্ধি পায়। আজ শনিবার এই হামলার সঙ্গে কুকুর মৃত্যুর যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত অর্চন পশুপ্রেমী হিসাবে পরিচিত এলাকায়। অর্চন ভট্টাচার্য মূল অভিযুক্ত বলে পুলিশের দাবি। বাড়ি তাঁর সোনারপুরে। 🌠এলাকায় ‘ডগ লাভার’ ব🧔লে পরিচিত। কুকুরের উপর হামলার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই পাল্টা হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
এই রোমহর্ষক হামলার ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেখানে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে একটি কুকুর নিয়ে দুই বাড়ির মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। থানা–পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিতের বক্তব্য, ‘একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধ🌠িকারী মামলা করেন। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। আজ শনিবার আমার কাছে ফোন আসে, গোবিন্দ ও তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে। কিন্তু এটার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’