ফের আন্দোলনে নামল কুড়মি সম্প্রদায়। বুধবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয় জঙ্গলমহল এলাকায়। তাদের এই আন্দোলনকে ঘিরে সকাল থেকে কার্যত শুনশান হয়ে যায় জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়াল বিভিন্ন এলাকায় এই বনধ কর্মসূচি পালন করেন কুড়মি নেতৃত্ব। এদিকে কিছুদি🌜ন আগেই রেলপথ, যান চলাচল স্ত🎉ব্ধ করে দিয়েছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের লোকজন। এরপর দীর্ঘ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন সাধারণ মানুষ। তারপর নবান্নে রফাসূত্র খুঁজতে আলোচনায় বসেছিলেন কুড়মি নেতৃত্ব। কিন্তু সেই আলোচনা কার্যত ভেস্তে যায়। এরপর ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন কুড়মি নেতৃত্ব। এবার ফের আন্দোলনে নামলেন কুড়মি সম্প্রদায়।
তাদের অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসানো হ♏চ্ছে, তফসিলি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাদের দাবি এখনও মেটেনি। এসবের জেরে ফের তারা আন্দোলনের রাস্তায়। তবে এবার তাদের আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হবে🎃 কি না তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
এদ🀅িকে এদিন🅘 জঙ্গলমহলের বিভিন্ন রাস্তায় অবরোধ করেন তারা। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিক্রমপুরে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তারা। রানিবাঁধ, রাইপুর, সারেঙ্গা, খাতড়া ব্লকে বনধের মিশ্র সাড়া পড়ে। কিছু এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ ছিল।
জঙ্গলমহলে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় এই বনধ। দফায় দফায় চলে অবরোধ। তব🍸ে সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রামে বনধের প্রভাব সেভাবে পড়েনি। এদিকে পুরুলিয়া বরাবাজার রোডও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কিছু সরকারি যানবাহন চলেছে। তবে অধিকাংশ বেসরকারি যানবাহন বন্ধ ছিল এদিন। স্থানীয় বাসিন্দ♊াদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
তবে এদিন জরুরী পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তায় বেরিয়ে কিছু ক্ষেত্রে চরম নাকাল হতে হয় স্থানীয়দের। বহু রুটে বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। সরকারি যে বাস চলেছে সেটাও অনি𒀰য়মিত। এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা ফের লাগাতার আন্দোলন শুরু হলে ভোগান্তি বাড়তে পারে।