নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশ♌নের পাঁচিল টপকে পালিয়ে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মুক্তেশ্বর মাহাতো। অবশেষে তিনদিন পর নিজেই মেদনীপুরের বাড়িতে ফিরল ছাত্রটি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রটি মেদনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার মুড়াডাঙার বাড়িতে ফিরেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্রের বাবা ললিত মাহাতো পুলিশের সঙ্গে ছেলের খোঁজে বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ছেলের ফেরার কথা শুনে তিনি বাড়ি ফেরেন।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় দুই সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নিꦅখোঁজ বোর্ডিং স্কুল থেকে, সিসিটিভিতে কী দেখা ꦐগেল?
জানা যায়, অষ্টমের ওই ছাত্র গত রবিবার রামকৃষ্ণ মিশন থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। ছাত্রের কথায়, বন্ধুদের টিটকিরি সইতে না পেরে আচমকা মিশনের হস্টেল থেকে রাতে🌠র অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রটি। এর জন্য দড়ি বেঁধে পাঁচিল টপকে রাতে হস্টেল থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়। হস্টেল ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রার্থনা ঘরে গিয়ে স্বামীজিকে প্রণাম করে। এছাড়া মহারাজ এবং হল মাস্টারের ঘরের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করে ছাত্রটি। তারপর ক্যাম্ꦏপাস ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রটি প্রথমে বাসে করে হাওড়ায় পৌঁছয়। সেখান থেকে মেদিনীপুর লোকালে ওঠে। সেখানে এক বৃদ্ধের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ট্রেনে করে প্রথমে পাঁশকুড়া স্টেশনে 🃏নামে। এরপর খড়গপুর স্টেশন চলে যায়। পরে আবার খড়গপুর থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে যায়। সেখানে স্টেশনের ওয়ে🐟টিং রুমে রাত কাটায়। পরের দিন সকালে সেখান থেকে আবার হাওড়া স্টেশনে চলে যায়। এরপর আবার সেখান থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে চলে যায়। বুধবার মেদিনীপুরে ছিল ছাত্রটি। তার কাছে ৫০০ টাকা ছিল। তাই দিয়ে চা, বিস্কুট এবং অন্যান্য খাবার খেয়েছে।
অবশেষে ছাত্রটি বাড়িতে ফিরে যায়। সে জানায়, তার সহপাঠীরা তার হস্টেলে থাকায় আপত্তি জানাচ্ছিল। তাকে ইনচার্জের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। তা শোনার পরেই সে হস্টেল ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ছাত্রটি প্রথমে কেন বাড়িতে ফিরল না✤? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সে বিষয়ে ছাত্রের বক্তব্য, সে প্রথমে বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা মায়ের বকাবকির ভয়ে সে বাড়ি ফিরতে পারেনি। পরে মায়ের কথা ভেবে এসে বাড়িতে ফিরে যায়। প্রসঙ্গত, মুক্তেশ্বরের বাবা-মা দুজনেই পে🎃শায় শিক্ষক। এই ঘটনার পর তারা আর ছেলেকে বাইরে পাঠাতে চাইছেন না। বাড়িতে রেখেই তারা পড়াশোনা করাবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ওই ছাত্র রামকৃষ্ণ মিশনে পড়তে চায়।