একে কন্যাসন্তান, তার ওপরে কালো। আর এই দুই ‘অপরাধের’ জেরে পৃথিবীর আলো দেখেও সারা জীবনের জন্য দু’চোখ বন্ধ হয়ে গেল একরত্তি শিশুর। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তিন মাসের ওই ⭕কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের গোসাবা থানা এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত পূরবী পাত্রকে গ্রেফতার করেছে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে শিশুর দেহ।
জানা গিয়েছে, গোসাবার সাতজেলিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা মৎস🍨্যজীবী জিতেন পাত্র ৮ বছর আগে পূরবীকে বিয়ে করেন। তাঁদের ৬ বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, বড় মেয়ে অঙ্কিতার গায়ের রঙ ফর্সা হলেও সদ্য জন্ম নেওয়া ছোট মেয়ে অমৃতার গায়ের রঙ কালো হওয়ায় অখুশি ছিল পূরবী। তার 💜ওপর ফের কন্যাসন্তান হওয়ার রাগও ছিল। পূরবী তারই বহিঃপ্রকাশ করত একরত্তি ওই মেয়ের ওপর। তাকে মারধর করত, তার ঠিকমতো যত্ন করত না বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে ওই পরিবারে বহুবার অশান্তিও হয়।
এরই মধ্যে বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এদিন সকালে মায়ের সঙ্গে নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরতে যান জিতেন। ঘর ফাঁকা ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগে বড় মেয়ের সামন💧েই তিন মাসের শিশু অমৃতাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে পূরবী। সেই কথা পুলিশের সামনে সে স্বীকারও করেছে। শীঘ্রই তাকে আদালতে তোলা হবে।