কথা দু’জনেই দিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষ একজনকে বিশ্বাস করেছিলেন। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে আবার সাংসদ হলেন তিনি। অভিনয় জগতে ছাপ রাখার পর রাজনীতির জগতেও ছাপ রেখেছেন তিনি। তাই তো লোকসভা নির্বাচনে মানুষের রায়ে সাফল্য ঘরে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সাংসদ হলে তিনি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করবেন। এই কথা দিয়েছিলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব এবং হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন দেবের কথা। 🦩আর লোকসভা নির্বাচন জেতার পরই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়নের তোড়জোড় শুরু করেছেন সাংসদ দেব। আর সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল সেচ দফতর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরামবাগের সভায় দেবকে পাশে নিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার বলে কথা দেন। এটাই ছিল দেবের দাবি। তাহলেই তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।🍃 এমন কথাই জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তারপর নির্বাচনের সময়টা পেরিয়ে ফলাফল সামনে আসতেই হাসি চওড়া হল দেবের। তারপরই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে ১২ জুন সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঘাটালের সাংসদ দেব। সংশ্লিষ্ট বৈঠকে ঠিক হয়েছিল ঘাটালের বন্যার জলের চাপ কমাতে দাসপুরের দুই সেচ খালকে গভীর করে খনন করা হবে। আর ওই বৈঠকের ১০ দিনের মাথায় সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসাররা আজ, শনিবার সবটা দেখতে আসেন দাসপুরে।
আরও পড়ুন: হাওড়া–বালি পুরসভার নির্বাচন কবে হতে চ🥀লেছে? মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক𝐆ের পর স্পষ্ট হবে দিনক্ষণ
ঘাটালের মানুষ যে দেবকে বিশ্বাস করে ভুল করেনি সেটা এই কাজের মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নানা এলাকা অফিসাররা ঘুরে দেখলেন। সেচ দফতরের অফিসাররা কোথা থেকে কাজ শুরু করবেন তা চিহ্নিত করেন। এই পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল দাসপুরের একাধিক তৃণমূল ꦫকংগ্রেসের নেতৃত্ব। এখানে আসেন জেলা সেচ দফতরের একাধিক অফিসার। প্রতিনিধি দলটি আজ, শনিবার দাসপুরের চন্দেশ্বর খালের মুখ থেকে শুরু করে দাসপুরের সুরতপুর পর্যন্ত এলাকা খতিয়ে দেখেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রস্তাবিত খাল কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন সেচ দফতরের প্রতিনিধিদল।