ইডি–সিবিআই দিয়ে রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এবার তা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্🦩দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। উত্তরপাড়ার সভায় তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, তেলঙ্গানা–সহ বিভিন্ন অবিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকার ভাঙার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাই সিবিআই–ইডিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? উত্তরপাড়ার সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি জানে ওই রাজ্যগুলিতে ওরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানেন, ওই রাজ্যগুলিতে বিরো✱ধী নেতাদের কণ্ঠরোধ করতে হবে। বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখাতে হবে। বিরোধী দলগুলিকে ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। বাংলার 🅰জন্য ঝাড়খণ্ডের সরকারকে ভাঙতে পারল না।’ সুতরাং তাঁর অভিযোগের তীর সরাসরি ছিল প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
কী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ? বিহারে বিজেপি নীতীশ কুমারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সুর সপ্তমে চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙতে বিজেপি ব্যর্থ হওয়ার পরেই নীত๊ীশ কুমারের আরজেডি’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার রক্ষা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি সরকার ভাঙার চক্রান্ত করছে। নরেন্দ্র মোদী, তোমার কত হিম্মত আছে আমরা দেখে নেব।’ এই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ ২০২৪ সালে লোকসভাꦏ নির্বাচন। সেখানে বাংলা ⛦থেকে আসন সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারলে উপযুক্ত জবাব হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।