দলের গোষ্ঠীকোন্দলে খুন হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নদিয়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম খুন হন। খুনের নেপথ্যে দলের গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী বলে জানান মৃতের স্ত্রী রিনা খাতুন। ওদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই টিনা ভৌমিকের দাবি, খুন𒅌 করিয়েছেন ﷺতৃণমূলেরই বিধায়ক তাপস সাহা। এদিকে স্থানীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ নদিয়া সীমান্তে নওদার টিকিয়াপাড়া ঘাটের কাছে খুন হন তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। বোমা মেরে গুলি করে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পরই এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মতিরুলের পরিবার ও অনুগামীদের দাবি, খুনের পিছনে রয়েছেন তৃণমূলের নওদা ব্লক সভাপতি সফিউরজাম্মান শেখ ও জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক। শুক্রবার সকালে নওদা থানায় গিয়ে সফিউ𒉰রজ্জামান ও টিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন। সঙ্গে সিআইডি তদন্ত দাবি করেন তিনি।
খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে টিনা ভৌমিক বলেন, মতিরুল চাচার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বাবা - মেয়ের মতো। আমার শ্বশুরমশাই ওকে রাজনীতিতে🃏 এনেছেন। রিনা চাচি আমাকে ইদে রান্না করে খাইয়েছেন। আমি ওকে খুন করতে যাব কেন? ওকে খুন করিয়েছেন বিধায়ক তাপস সাহা। ♉নিজে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আমাদেরও আইনি প্যাঁচে ফেলতে এই খুন করিয়েছেন উনি। রিনা চাচি এখন মতিরুল চাচার অনুগামীদের পরামর্শে কাজ করছেন। তাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকতে পারেন।
ওদিকে এদিন এলাকায় গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহু♚য়া মৈত্র বলেন। এই খুনের পিছনে কে আছে পুলিশ তাদের দ্রুত খুঁজে বার করবে। তবে রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এই খুন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই খুনের জেরে তৃণমূলের অন্দরটা যে কতটা ফাঁপা হয়ে রয়েছে তা ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মৃতের স্ত্রী, যিনি নিজে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, তিনি বলছেন স্বামী খুন হয়েছেন রাজনৈতিক বিবাদে। তাঁর অভিযোগ দলেরই এক নেতা ও নেত্রীর বিরুদ্ধে। সেই নেস্ত্রী টিনা ভৌমিক আবার বলছেন, খুন কꦗরিয়েছেন তৃণমূলেরই এক বিধায়ক। স্থানীয় তৃণমূলি সাংসদ আবার বলছেন এই খুনের পিছনে রাজনীতি নেই। প্রশ্ন হল, দলের থেকেই এতরকম বক্তব্য প্রকাশ্যে এলে বিরোধীদের প্রয়োজন কী?