করোনা কালে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তারপর এবছর তীব্র গরমের কারণে স্কুলে প্রায় দুমাস ধরে ছুটি ছিল। এর ফলে পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে⛎ছে পড়ুয়ারা। সেই সমস্যা দূর করতে ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা দফতর। তবে সিলেবাস শেষ করার ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা এখনও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় পরীক্ষায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে পড়ুয়ারা। সেই সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করার জন্য স্কুলের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: সরকাꦕরি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষকের অভাব মেটাতে অভিনব পদক্ষেপ রাজ্যের
শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতোই স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের ক্লাসের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। যেমন পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যাপীঠ বয়েজ হাইস্কুলে একটি করে পিরিয়ড আধ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। আগে ওই স্কুলে মোট ৮টি পিরিয়ড হতো। তবে শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকার পর থেকে ওই স্কুলে ৯টি করে পিরিয়ড হচ্ছে। সোম থেকে শুক্র বার পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই ক্লাস চলবে বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে। এতে খুশি ছাত্ররাও। প্রত♔্যেক ছাত্র-ছাত্রী উৎসাহের সঙ্গে তাদের পঠন পাღঠন চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ গরমের ছুটির ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনা ব্যহত হয়েছে সে বিষয়ে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল শিক্ষা দফতর। এই দীর্ঘ ছুটির ফলে পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে সামলানো হবে সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচ꧙না হচ্ছে। তা বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সমস্যা দূর করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় স্কুলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় ছুটির ক্ষতি সামলে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা কোন পথে এগোবে তার রূপরেখা তৈরি করে দিল শিক্ষা দফতর। প্রতিটি স্কুলকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনার এই ক্ষতি সামাল দিতে হবে। পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময় হবে বলেই জানিয়েছে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। প্রতিটি ক্লাসের সিলেবাস শেষ করার জন্যই অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার প𒁃াশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে আলাদা করে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।