মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাইস্কুল। সেখানেই আচমকা বন্দু🅰কবাজের হানা। একেবারে মার্কিন স্টাইলে ক্লাস সেভেনের ঘরে ঢুকে পড়েছিল বন্দুকবাজ যুবক। একহাতে বন্দুক। সঙ্গে দুটো বোতল। সে দাবি করেছিল ব্যাগের মধ্যে আরও অস্ত🎶্র রয়েছে। বোতলে অ্য়াসিড আছে বলে দাবি করেছিল ওই যুবক। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই যুবককে আটক করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবকের হাতে যে বন্দুকটি ছিল সেটি আসল বন্দুক। সেটা নিয়েই সে ভয় দেখাচ্ছিল। মালদহের ডিএসপি ডিএনটি আজহারউদ্দিন খান সিভিল ড্রেসে ধরে ফেলেন ওই বন্দুকবাজকে।
এদিকে এখন প্রশ্ন উঠছে কে এই বন্দুকবাজ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বন্দুকবাজ আসলে স্থানীয় বাসিন্দা। তার মানসিক কিছু সমᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚস্যা থাকতে পারে। বেল্ট দিয়ে পায়ের সঙ্গে বাঁধা ছিল দুটি ছুরি। একেবারে পরিকল্পনা করে সে ঢুকে পড়েছিল ওই বন্দুকবাজ। এমনকী যে বোতল দুটি সে নিয়ে গিয়েছিল সেটাকে সে অ্যাসিড ব𒀰োমা হিসাবে ব্যবহার করার ছক কষছিল।
অন্যদিকে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্💫যক্তির নাম দেব বল্লভ। ত🍌িনি বিজেপি নেত্রীর স্বামী। আগেও তিনি ফেসবুকে বন্দুক নিয়ে লাইভে এসেছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে একজন বন্দুক নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ল অথচ কেউ জানলই না। ♛তবে পুলিশ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও গাফিলতি ছিল কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
এদিকে বন্দুক হাতেই ওই যুবক জানিয়েছিলেন, আমার ছেলেকে টিএমসি পার্টি পুলিশ প্রশাসন অপহরণ করেছে। আমি মুখ্যসচিবকে অভিযোগ জানিয়েছি। ডিএম এসপিকেও অভিযোগ জানিয়েছি। টিএমসি নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। এই কাজ করার আগে লাইভ ফেসবুক করেছিলাম। আমি বলেছিলাম এনিয়ে পদক্ষেপ না নিলে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্দুক কেনার অর্ডার দিয়েছিলাম। আমার ছেলে আর স্ত্রীকে এখানে নিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন আমাকে এখনও পর্যন্ত ডেক𝓡েও জিজ্ঞাসা করেনি।
এভাবেই বন্দুক হাতে পড়ꦗুয়াদের পণবন্দি ক🐲রেন ওই ব্যক্তি। একেবারে রূদ্ধশ্বাস ঘটনা মালদার স্কুলে। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন,আমাদের স্কুলের ৭০টি বাচ্চাকে পণবন্দি করে রেখেছিল। অপর এক শিক্ষিকা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা খেলনা। পরে বুঝতে পারি ভয়াবহ ঘটনা। তবে পুলিশের পোশাকে কাউকে দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল ওই যুবক। সেকারণে পুলিশ কর্তা পোশাক বদলে গেঞ্জি পরে তাকে চেপে ধরে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কেন সে এই ক𒁃াণ্ড ঘটাল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।