সম্প্রতি কলকাতা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। এর ফলে তার প্রভাব পড়েছে স্কুলগুলিতে। আর এবার স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। হুগলির বলাগড়ের সিজা-কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরনই গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতার নাম মৌমিতা ঘোষ (৩২)। রবিবার বন্ধ ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মৌমি⛄তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং 🎶স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌমিতার স্বাꦺমীর নাম প্রতাপ ঘোষ। ২০১৮ সালে তিনি গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিকটবর্তী ডুমুরদহ ধ্রুবানন্দ হাইস্কুলে তিনি গ্রুপ ডির চাকরি করছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট যে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। তার মধ্যে নাম ছিল প্রতাপের। ফলে চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে তিনি এবং তার পরি⛎বারের সদস্যরা খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। প্রতাপ ঘোষ জানান, তিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি মাঠে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। বাড়ি ফিরে এসে তিনি দেখেন স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। প্রতাপের এক প্রতিবেশী এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন। তাঁর বক্তব্য, চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সকলে দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। সেই কারণে আত্মঘাতী হয়েꦗ থাকতে পারেন মৌমিতা।