অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়ে গিয়েছিল? তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিষেক অভিযোগ করেছেন যে তাঁর ‘অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে 'অনুমোদনহীনভাবে’ কেউ ঢুকে পড়েছে। আর তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য পালটে দিয়েছে। সেই ঘটনায় যাতে কড়া পদক্ষেপ করা যায়, সেই দাবি তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ স🦹ম্পাদক। এমনকী মার্ক জুকারবার্গরা (মেটার সিইও) যদি উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেন, তাহলে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।
আজ সকালেও অভিষেকের ফেসবুক পেজে পোস্ট
এমনিতে অভিষেকের ফেসবুক পেজ অত্যন্ত সক্রিয়। নিয়মিত পোস্ট করা হয়। আজ সকাল থেকেও দুটি পোস্ট করা হয়েছে। 🍎একটি পোস্টে সরোজিনী নাইডুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করেছেন। অপর একটি পোস্টে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প নিয়ে পোস্ট করেছেন তৃণমূল সাংসদ। তারইমধ্যে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ফেসবুক পেজে 'অনুমোদনহীন অ্যাকসেস’ নিয়ে অভিযোগ করেছেন অভিষেক।
বাজেটের পরেও নীরব অভিষেক!
সেই বিষয়টির মধ্যেই এবারের রাজ্য বাজেট নিয়ে অভিষেকের ‘নিঃস্তব্ধতা’ নিয়ে একটি মহলে কানঘুষো শুরু হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাজেট পেশ করেন অরꦇ্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তারপর থেকে অভিষেকের কোনও সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বাজেট নিয়ে কোনও বিবৃতি ভেসে ওঠেনি। আলাদা করেও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
অথচ ২০২৪ সালে যখন বাজেট পেশ করা হয়েছিল, তখন দিনের দিনই বাজেট নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। আর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্প▨ নিয়ে পোস্ট করেছেন। কিন্তু ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে টুঁ শব্দটাও করেননি। সেই পরিস্থিতিতে অভিষেকের ‘নীরবতা’ একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য আপাতত পাওয়া যায়নি।
এবার বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও ঘোষণা
১) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হচ♔্ছে। যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে।
২) গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হ�﷽�য়েছে।
৩) ঘাটাল মাস্টার প্ল🍬্যানের জন্য ৫০০ কোটি🍌 টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৪) 'সুফল বাংলা'-র অতিরিক্ত ৩৫০টি স্টল খোলা হবে।
৫) ৭০,০০০ আশাকর্মী এবং এক লাখের বেশিও অ🐷ঙ্গনওয়াড়ি কর্মচারীকে স্মার্টফোন দেওয়া হবে।
৬) 'নদী বন্ধন'-র প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। যে🐻 প্রকল্পের মাধ্যমে জীবিকা সংস্থানের পথ উন্মোচন করা হবে।
৭) প্রতিটি জেলা ও সদরে একটি শপিং মল এবং বাণিজ্যিক কমপ্লেক🥀্স তৈরি করা হবে। তার মধ্যে দুটি তলা সংশ্লিষ্ট জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও শিল্পী-কারিগরদের স্টলের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
৮) বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ৯,৬০০ 𝓡কোটি টাকা বরাদ্দ♉ করা হয়েছে।
৯) 🍌গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।