দুর্গাপুজোর আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন সব্যসাচী দত্ত। আর তখন থেকেই তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে যায় দুই শিবির। কিন্তু সামনে পুজো থাকায় তা চরমে ওঠেনি। কিন্তু পুজো মিটতেই বোঝা গেল তুষের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে। সুজিত বসুর সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের অহি–নকুল সম্পর্ক সবারই জানা। সেটাই এবার প্রকাশ্যে এলো।ঠিক কী ঘটেছে? বিজয়া দশমীর দিন মমতা–অভিষেকের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের হয়। তবে অভিযোগ দায়ের হয়, সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসুর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে বেশ তপ্ত হয়ে ওঠে বিধাননগর। সুজিত অনুগামীরা বলছেন, দাদাকে পিছন থেকে ছোড়া মারার ছক কষা হয়েছে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এবারের দুর্গাপুজোয় বুর্জ খলিফা সুজিত বসুকে চাপে রেখেছিল। কারণ এটাই টক অফ দ্য টাউন হয়ে উঠেছিল। তার জেরে বিস্তর ঝামেলা সামলাতে হয় তাঁকে। এখানে ভিড় থেকে লেজার লাইট বন্ধ বারবার চর্চায় নিয়ে এসেছিল সুজিত বসুকে। এমনকী বন্ধ হয়ে যায় প্রতিমা দর্শন। লোকাল ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ হয় বিধাননগর স্টেশনে। আর দশমীতে সব্যসাচীর অনুগামী জনৈক উদয়ন সরকার এফআইআর করেন সুজিত বসুর ছেলের বিরুদ্ধে। ফলে আবার ফাটল স্পষ্ট হয়ে গেল। এবারের দুর্গাপুজোয় বুর্জ খলিফা সুজিত বসুকে চাপে রেখেছিল। কারণ এটাই টক অফ দ্য টাউন হয়ে উঠেছিল। তার জেরে বিস্তর ঝামেলা সামলাতে হয় তাঁকে। এখানে ভিড় থেকে লেজার লাইট বন্ধ বারবার চর্চায় নিয়ে এসেছিল সুজিত বসুকে। এমনকী বন্ধ হয়ে যায় প্রতিমা দর্শন। লোকাল ট্রেন দাঁড়ানো বন্ধ হয় বিধাননগর স্টেশনে। আর দশমীতে সব্যসাচীর অনুগামী জনৈক উদয়ন সরকার এফআইআর করেন সুজিত বসুর ছেলের বিরুদ্ধে। ফলে আবার ফাটল স্পষ্ট হয়ে গেল।|#+|একুশের নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সুজিত–সব্যসাচী। যদিও সুজিতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি সব্যসাচী। আর এখন দলে ঢুকে সমস্যা তৈরি করছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি থেকে একমাত্র হেরে যাওয়া প্রার্থী সব্যসাচী তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পেরেছেন। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে, দলের অন্দরেই কী সুজিতের বিরুদ্ধে চোরাস্রোত তৈরি হয়েছে? না হলে এমন ঘটনা ঘটল কী করে? সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠমহলে সুজিত নাকি প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হল, মিডিয়া জেনে গেল, অথচ এত পরে জানতে পারলেন? আগেও দত্তাবাদে ঝুপড়ি উচ্ছেদ থেকে নিউটাউনের সিন্ডিকেট নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বেধেছে বারবার। এখন দেখার এর শেষ কোথায়!