ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নম্বরে কারচুপির অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টে। অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক রঙ দেখে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হয়। এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে পিএইচ💖ডি করতে পারছেন না বা যোগ্যতা অনুযায়ী নম্বর পাচ্ছেন না। এর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানের অফিসের বাইরে অবরোধ, বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তীর অফিস ঘেরাও ক🍌রেন তাঁরা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিযোগের তির বাম প্রভাবিত শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠেছে। পড়ুয়াদের একাংশ꧃ের দাবি এসএফআই করলে বেশি নম্বর আর না করলে ফেল করানো হয় বা নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে রিভিউয়ের দাবি করেন পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, রিভিউয়ের সময় ব♏াইরের বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে। তবে রিভিউয়ের দাবি শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে বিশ্𓆉ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এত কম ফি এখানে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ಌে পরিদর্শন করতে এসে🅘 প্রশ্ন তুলল ন্যাকের দল
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বাম মনস্ক অধ্যাপকরা মূলত রাজনৈতিক রঙ দেখেই পড়ুয়াদের নম্বর দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা এসএফআই করে থাকলে বেশি নম্বর দেওয়া হয়। তবে অন্য কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের কম নম্বর দেওয়া হয়, অথবা ফেল করানো হয়। তাতে যোগ্যতা থাকলেও অনেকে ফার্স্ট ক্লাস পাচ্ছে না অথবা পিএইচডি করতে পারছেন না। অনেকদিন ধরে এরকমটা চলে আসছে। এ নিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টি অভিযোগ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি। তাই সমস্যার সমাধানে এদিন &nbs🐬p;বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তীর দফতর ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। পরে শুরু হয় অনশন।
পড়ুয়াদের দাবি, রিভিউ করতে হবে। এরপরেই তড়িঘড়ি বিভাগীয় বোর্ড অব স্টাডিজের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তাতে ঠিক হয় যে রিভিউ করা হবে। প🎀্রসঙ্গত, পূর্বের তরফে রিভিউ করার পাশাপাশি দাবি জানানো হয়েছিল, রিভিউয়ের সময়ে বাইরের বিশেষজ্ঞদের রাখতে হবে তাছাড়া। অভিযুক্ত অধ্যাপকদের ক্ষমা চাইতে হবে লিখিতভাবে।
এদিনের বৈঠকের পরে বিভাগীয় প্রধান জানান, ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষার রিভিউ করা হবে এবং বাইরের বিশেষজ্ঞের রাখা হবে। পাশাপাশিꦡ ইন্টারনালে পরীক্ষা নিয়েও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। শুধু তাই নয় এক শিক্ষককে কারণ জানাতে বলা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক রঙ দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে আশ্বাস পেয়েই অবশ্য বিক্ষোভ, অনশন তুলে নেন পড়ুয়ারা।