বঙ্গ সফরে অমিত শাহ।
অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিজেপির মতো এত গণতান্ত্রিক দল ভারতে নেই। বাংলায় যখন আপনারা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হন তখন কমিউনিস্টদের আতঙ্ক আর মমতা দিদির অত্যাচার থেকে বাঁচার কাজে যোগ দেন। এখানে সীমান্ত রাজ্য। এখানে স্টেট স্পনসর্ড অনুপ্রবেশ হয়। বাংলায় রবীন্দ্র সংগীতের জায়গায় বোমের শব্দ। এর একটাই উপায় ২০২৬ সালে বিজেপির সরকার তৈরি করা। বাংলায় এক কোটি সদস্য তৈরি করতে হবে। কয়লা, ১০০দিনের কাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবেতে এখানে দুর্নীতি। কাটমানির সরকার চলছে। বাংলায় ২৬ সালে সরকার তৈরি করুন। সিন্ডিকেটের রাজ চলছে বাংলায়। মহিলাদের সম্মান রক্ষা হচ্ছে না। সন্দেশখালি বা আরজি করের ঘটনা বন্ধ করার জন্য এখানে বিজেপি সরকার তৈরি করতে হবে। মিঠুন দা বলছিলেন জুলুমবাজি করে বিজেপিকে ভোট দিতে দেয় না। আমাদের কয়েকজন শহিদ হয়েছেন। আমি বলছি, এখানে সোনার বাংলা হবে। ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপির সরকার হবে। এখন দক্ষিণ ভারতেও সরকার তৈরি করছি। সদস্য অভিযান শুরু হচ্ছে। মমতা দিদি আমাদের কিছু আসন কম এসেছে। খুব উৎসাহ আপনার। আপনার মনে হচ্ছে আমরা কিছুটা কমে গিয়েছি। আমরা সেই পার্টি যারা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করি। ভ♏াইপোকে মুখ্য়মন্ত্রী বানানোর জন্য় কাজ করি না। মমতা দিদি আমাদের রাজনীতিতে আসার উদ্দেশ্য হল বাংলায় বিজেপির ঘর তৈরি করা। আমরা যখন ভোটের ময়দানে আসব, আমাদের রুখতে পারবেন না। আমি রাহুল বাবা অ্যান্ড কোম্পানি,মমতা দিদিও সেখানে শামিল ছিলেন। আমি বাংলার নেতাদের বলছি মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডেও আমাদের সরকার হবে। ২০২৪ সালেও বলছিলেন রাহুল বাবা বলছিলেন আমরা হারিয়ে দিয়েছি। কিন্তু যারা হেরে যায় তারা তো বিরোধী আসনে বসেন।
অমিত শাহ বলেন, কয়েকজন বলছিলেন আয়ুষ্মান ভারতের সুফল পাচ্ছি না। আমি বলেছি ২০২৬ সাল থেকে বাংলার সকলে আয়ুষ্মান ভারতের সুফল পাবেন। চাকরি জন্য কাউকে ঘুষ দিতে হবে না✨। আমরা বলছি কোথাও সুপারিশ করতে হবে না। যারা যোগ্য তারা যাতে চাকরি পান তার ব্যবস্থা করব।
অমিত শাহ বলেন, মমতাজী আমাদের উপর অভিযোগ আনেন যে মোদীজি বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করেন। আমি আজ বলে যাচ্ছি মমতাদিদিকে বলছি, কত টাকা দিয়েছিল ইন্ডিয়া জোট ১০ বছরে। আমি বলছি ১৪-২৪ এই বছরের মধ্যে ১০ বছরে আপনি ২ লাখ ৯ হাজার কোটি দিয়েছেন। আর এই দশ বছরে মোদীজি ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি দিয়েছেন বাংলার জন্য। আমার কাছে পাই পয়সার হিসাব আছে।