সোমবার রাতে তিহাড় জেল থেকে বেরিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মেয়ে আনতে গিয়েছিলেন। আর মঙ্গলবার কাকভোরে তিনি কলকাতায়। এরপর পৌঁছে যান নিজের খাসতালুক বীরভূমে। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন দলের নেতা কর্মীরা। দীর্ঘদিন পরে পা দিলেন নীচুপট্টির সেই ব🤡াড়িতে। সেই পুরনো চেয়ার, পুরনো ঘর। ১৮ মাস পরে এলেন। তবে জেলে থেকে কিছুটা পরিবর্তন তো হয়েছে। আগের থেকে ওজন অনেকটাই কমেছে। প্রায় ৩০ কেজি। সেই সঙ্গেই হাঁটতেও একটু সমস্যা হচ্ছে𓂃।
বাড়ির সামনে 𒀰প্রবল ভিড়। ভিড় এড়িয়ে তিনি🐬 যান ঘরের ভেতর। সেখানেই বিশ্রাম। একদিন এই বাড়ি থেকেই তাকে পাকড়াও করেছিল সিবিআই। সেসব আজ অতীত। সেই বাড়িতেই ফিরে এসেছেন কেষ্ট মণ্ডল।
বাড়ি ফিরে স্নান, বিশ্রাম। একাধিকবার লিকার চা খেয়েছে♍ন। ওআরএসও খেয়েছেন।
এদিকে এতদিন জেলের খাবারেই পেট ভরাতে হয়েছে। সেখানে বাঙালি খাবার সেভাবে জোটে না। জেলে রুটিই খেতে হয়েছে। তবে বরাবরই অনুব্রত মণ্ডল ভোজনরসিক। পোস্তর বড়া, মাছ ছাড়া চলে না। তবে তিহাড়ে সেসব সুযোগ ছিল না। অগত্যা ফিরে আসার পরে মঙ্গলবার বাড়িতে কেষ্ট মণ্ডলের জন্য ছিল সেই পোস্তর বড়া, মাছের তরকারি। ফিরে এসে কেষ্ট বলেছিলেন, ২ বছর পরে ফিরᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚে এলাম। সবাই ভালো থাকবেন।
এদিকে বীরভূমেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশাসনিক মি🐽টিং ছিল। কিন্তু জেল থেকে ফি🐭রেও তিনি এদিন সেখানে যাননি।
কেষ্ট মণ্ডল বলে🔯ন, পায়ের অ🎀বস্থা খুব খারাপ। দরকার হলে দেখা করে আসব। মমতা ব্যানার্জিকে খুব ভালোবাসি। ওয়েস্ট বেঙ্গলের মানুষ মমতা
শরীর একটু অসুস্থ। পায়ে বেদনা। কোমরে বেদনা। নিজেই বলেন অনুব্রত।
২০২২ সালে𝓡র ১১ অগস্ট এই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রতকে। সেই বাড়িতে ফিরলেন কেষ্ট মণ্ডল। তবে এদিন নেতা কর্মীদের উচ্ছাস দেখে চোখে জল দাপুটে কেষ্ট মণ্ডলের। এমনকী ঘরের মধ্য়ে ঘনিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময়তেও তিনি কেঁদে ফেলেন।
সেই সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে আসছে🥃ন। দিদির জন্য আছি, বর﷽াবরই থাকব।’ 'আমি দিদিকে ভালোবাসি। দিদি আমায় ভালোবাসে।'
এদিন কন্যা সুকন্যার হাত ধরে গাড়ি থেকে নামেন অনুব্রত। সাত সকালেই বাড়িতে চলে আসেন। বাড়ির সামনে পুষ্পবৃষ্টি। ফাটল বাজি। উড়ল সবুজ আবীর। তবে নেতা🎐 মন্ত্রীরা দেখা করার চেষ্টা করলেও তার নাগাল পাননি।