এসো বসো আহারে। চাইনিজ, মোগলাই তো আছেই, পুজোর চারদিন একেবারে কবজি ডুবিয়ে একটু বাঙালি খানা না হলে পুজো আনন্দ যেন সম্পূর্ণ হয় না অনেকেরই। কিন্তু বাড়িতে যাঁরা থাকবেন তাঁরা পুজোর সময় বাঙালি পদে ভুরিভোজ করতেই পারবেন। কিন্তু যে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে, পুজো এলেই যাঁদের মন উড়ু উড়ু করে তাঁরা কী করবেন? বেড়াতে বেরিয়ে তাঁরা কী বাঙালি খাবারের স্বাদ পাবেন? তবে এব্যাপারে মুসকিল আসানের ব্য়বস্থা করেছে রেল। রেল সূত্রে খবর, এবার বড় স্টেশনগুলিতে বাংলার আদি ও অকৃত্রিম নানা পদের খোঁজ মিলবে। একেবারে ঘরের স্বাদ স্টেশনে। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে ট্রেন কম চলেছিল। এবার ট্রেন বেড়েছে। যাত্রী সংখ্যাও বেড়েছে। মহালয়ার দিন থেকে দেড় মাস ধরে বড় স্টেশনের ফুড প্লাজাগুলিতে পাওয়া যাবে বাংলার খাবার।’ কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে এই খাবার? সূত্রের খবর, হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা, বোলপুর, নিউ জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন স্টেশনে মিলবে এই লোভনীয় বাঙালি পদ। যাত্রীরা ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে এই ধরনের খাবারের অর্ডার করতে পারবেন। তবে কোভিড পর্বের আগে পুজোর সময় এই ধরনের খাবার আগেও মিলত। এবার ফের সেই ধারাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ। কী কী পাওয়া যাবে তারও একেবারে লম্বা তালিকা। লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, ছানার কোপ্তা, পোলাও, মাছের ঝোল,পাঁঠার মাংস, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, কালাকাঁদ, রসগোল্লা, রসমালাই, পায়েস। রসনা তৃপ্তিতে পাওয়া যাবে অনেক কিছুই। এর সঙ্গেই মাংসের একাধিক পদ, ভেজ বিরিয়ানি, মটন বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানিও পাওয়া যাবে।