ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস চেপে ধরেছে বিধানসভায়। এবার লোকসভা অধিবেশন শুরু হলেই ‘ইন্ডিয়া’ চেপে ধরবে বিজেপিকে। সেই রণকৌশল তৈরি করা হয়েছে। আজ নয়াদিল্লিতে বঙ্গ–বিজেপির সাংসদরা হাজির হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সব সাংসদ নিয়ে একেবারে প্রস্তুত। হ্যাঁ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই নয়াদিল্লিতে আছেন। কিন্তু তার মধ্যেই আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে বিজেপি বিধায়করা মণিপুর ইস্যুকে কমব্যাট করতে নিয়ে আসতে চলেছেন মালদা ইস্যু। পাল্টা মণিপুর ইস্যু যেন লঘু না হয় তার জন্য প্রস্তুত শাসকদলের বি🍎ধায়করা। সুতরাং বিধানসভার শুরু থেকেই শাসক– বিরোধী সম্মুখসমরে নামতে চলেছেন বলে খবর।
বিধানসভার যেটা হবে সেটাকে বর্ধিত অধিবেশনও বলা যায়। আজ দুপুর ১২টা থেকে অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। তার আগে সকাল ১১টায় বসতে চলেছে সর্বদলীয় বৈঠক। গত দু’বছরে এক–দু’বা🅘র সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। এবারও সে ছবি বদলাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠকের পরই আজ আছে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক। আর সকালেই আছে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকও বারবার বয়কট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। তারপর দুপুর ১২টায় বাদল অধিবেশন শুরু। এদিন বাদল অধিবেশনের শুরুতে শোকপ্রস্তাব পাঠের পর অধিবেশন মুলতু﷽বি হয়ে যাবে।
এদিকে প্রথমদꦍিন শাসক–বিরোধী পরস্পরের রণকৌশল বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এখন শুভেন্দু অধিকারী নয়াদিল্লিতে আছেন। ফলে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে বেড়ে খেলবে না বিজেপি। তবে সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যে সূচি রয়েছে তাতে মঙ্গলবার ও বুধবার কোনও প্রশ্নোত্তরপর্ব বিধানসভায় নেই। বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বের সম্ভাবনা আছে। কিন্তু মঙ্গলবার এবং বুধবার বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে দিনভর আলোচনা হওয়ার নজির খুব একটা নেই। এর মধ্যে দলীয় বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরে আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই তপ্ত হবে ব🌳িধানসভা।
আরও পড়ুন: বিজেপির প্ল্যান–বি ঠিক কী? শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে ফাঁস করলেন ❀মমতা
আর কী জানা যাচ্ছে? বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতেই বিধায়করা তাঁর নেতৃত্বে মালদা ইস্যুকে সামনে রেখে উত্তাপের ঘনঘটা তৈরি করতে চাইছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস মণিপুর ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে বিরোধীদের কাছা খুলে দিতে তথ্যে❀ শান দিচ্ছেন। সুতরাং মালদা–মণিপুর ইস্যুর ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বিধানসভার বাদল অধিবেশনে বলে সূত্রের খবর। এই অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। একইভাবে তখন মালদা বিরোধীরা চিৎকার জুড়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন। সঙ্গে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বিষয়টি তাঁরা যোগ করতে চান বলেও বিজেপির পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।