‘পাউডারের সঙ্গে জল মিশিয়ে টিকা তৈরি করা হয়েছিল’! কসবা কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘কসবায় উদ্ধার হওয়া ভ্যাকসিনগুলো সাধারণত করোনার ভ্যাকসিনের মতো দেখতে ছিল না। ডাস্টের সঙ্গে লিকুইড মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ভায়েলের গায়ে কোনও তারিখ, ব্যাচ নম্বর কিম্বা এক্সপায়ারি ডেট কিছুই ছিল না। এমনকী এই ভ্যাকসিনে কোম্পানির নাম পর্যন্ত ছিল না। শুধু সবুজ রঙের কাগজে মোড়ানো ছিল। সেই কাগজে কোভিশিল্ড লেখা ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের ভ্যাকসিনকে বলা হয়, রিকম্বিনেশন ভ্যাকসিন। সাধারণত এটা কোভিশিল্ডের মাপের চেয়ে একটু বড় হয়, তবে ভুয়ো কোভিশিল্ডের মাপ অনেকটাই ছোট।’ তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের মধ্যে আদৌ কী ছিল, তা জানার জন্যে নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই তথ্য এলে, সবটাই জানা যাবে। তবে এই ধরনের ভুয়ো ভ্যাকসিন যে দেওয়া হচ্ছিল, তার আগাম কোনও খবর পুরসভার কাছে ছিল না।’ অতীন আরও জানিয়েছেন, কসবার এই ক্যাম্পের জন্য একটি মাইক্রো ফিন্যান্স সংস্থা ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘কসবা এলাকার বহু মানুষ এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কোনও ম্যাসেজ বা তথ্য কিছুই দেওয়া হয়নি। রাজ্য, কেন্দ্র ও পুরসভা ছাড়া বাইরের কেউ ভ্যাকসিনের কোনও বিষয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ভ্যাকসিনের নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে, কেউ ভ্যাকসিনের ক্যাম্প করতে চাইলে, পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। এবিষয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।’ অতীন আরও বলেন, ‘মিমি চক্রবর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই বিষয়টি পুরসভার নজরে এসেছিল। কসবার ওই ক্যাম্পে মোট ১১০ জন টিকা নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৭০ জনের রিপোর্ট পুরসভার হাতে এসে পৌঁছিয়েছে। সেই রিপোর্টে কয়েকজনের শরীরে র্যাশের মতো দাগ ছাড়া গা ব্যথার সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া কোনও গুরুতর অসুবিধা নেই।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তাঁরা পুরসভাকে জানাননি। সেক্ষেত্রে এর দায় তাঁদেরই।