বিয়ের বয়সের উর্ধ্বসীমা কত হতে পারে? অথবা আদৌও কী আইনে বিয়ের বয়সের উর্ধ্বসীমা উল্লেখ রয়েছে? এমনই প্রশ্ন উঠে আসল উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত এক পুরকর্মীর বিয়ে নিয়ে। ৭৫ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মী অজিত সাহা। আর তাতেই তাকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। শেষমে🃏ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে স্বস্তি পেলেন ওই প্রাক্তন কর্মী। হাইকোর্ট উল্লেখ করে দিয়েছে হিন্দু বিবাহ আইনে উর্ধ্বসীমার কোনও উ🦩ল্লেখ নেই।
বাম আমলে চিটফান্ড খুলে প্রতা෴রণা, টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে আমানতকারীরা
মামলার অনুযায়ী, অজিত বাবু পানিহাটি পুরসভার একজন কর্মী ছিলেন। তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর নাম পূর্ণিমা সাহা। ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হয়। পুরসভার খাতায়-কলমে তার স্ত্রী হিসেবে পূর্ণিমা সাহার নামে রয়েছে। এরপর অজিত বাবু 💫দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মিঠু সাহা। ২০০৭ সালে অজিত সাহা অবসর নেওয়ার পর অবসরকালীন সুবিধার তালিকায় নাম ছিল তার প্রথম স্ত্রীর। সুবিধাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তোলার জন্য প্রথম স্ত্রীর ডেথ সার্টিফিকেট এবং দ্বিতীয় বিয়ের নথি পানিহাটি পুরসভা এবং পেনশন প্রভিডেন্ট ফান্𝔉ডের ডেপুটি ডিরেক্টরের কাছে জমা দেন। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
অজিত বাবুর সেই আবেদন গ্রহণ করেননি আধিকারিকরা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল এমপ্লয়িজ ডেথ কাম রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট রুল- ২০০৩’ আইনে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য, অবসরের পর দ্বিতীয় বিয়ে করলে সেই স্ত্রী সুবিধা পাবেন না। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অজিত সাহা। মামলা চ🔥লাকালীন, তার আইনজীবীর যুক্তি ছিল হিন্দু বিবাহ আইনে উর্ধ্বসীমার উল্লেখ নেই। তাহলে কেন তার স্ত্রীকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট আইনজীবীর যুক্তি মেনে নেয়। আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে রাজ্যের পুর দফতরের কဣর্মীদের অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত আইন বদল করতে হবে। অজিত বাবুর স্ত্রী সুবিধা পাবেন বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট।