কলকাতায় মুরগির মাংসের দাম ক্রমেই বাড়ছে। আমজনতার চিকেন খাওয়ার আশাতেও এবার জল পড়ে যাচ্ﷺছে। চিকেন বিরিয়ানির দামও বাড়তে পারে। কিন্তু ব্যাপারটি কী?
মঙ্গলবার কলকাতার একাধিক বাজারে দেখা গিয়েছে ৩০০ টাকা কেজি দরে চিকেন বিক্রি ♔হচ্ছে। পোলট্রি ব্যবসায়ীদের দাবি. এবার পোলট্রি চাষে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। বাচ্চা মুরগির মৃত্যু হয়েছিল প্রচুর। তার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আর ꩵতার জেরেই এবার দাম চড়তে শুরু করেছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের সম্পাদক মদন মাইতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে𓂃ছেন, প্রচন্ড গরমে🀅 মুরগির বাচ্চা প্রচুর মরে গিয়েছে। আরও বাচ্চা মরলে চাষিরা সমস্যায় পড়ে যাবেন। সেই সঙ্গেই মুরগির খাবারের দাম ক্রমেই বাড়ছে। সব মিলিয়ে মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে।
তিনি জানিয়েছেন কলকাতার বাজার থেকে পোলট্রি ফ্রামগুলি প্রায় ১৫০-২০০ কিমি দূরে। বাজারে মুরগি আনতে আনতেই কিছু মরে যায়। এতে সমস্💮যা আরও বাড়ে। এদিকে এভাবে মুরগি মরে গেলে দামও বাড়তে থাকবে।
কিন্তু খুচরো বাজারে কাটা মাংসের এত দাম কেন?
কলকাতার এক পোলট্রির খুচরো বিক্রেতা জানিয়েছেন, আমরা ১৬০ টাকা কেজি মুরগি কিনি। সেগুলি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এদিকে পালক, নাড়িভুঁড়িতে ৪০ শতাংশ বাদ যায়। ফ্রেস মাংস ৩০০টাকা কেজি দরে না বিক্রি করতে পারলে কিচ্ছু হবে না। ꦇ;
এদিকে গতবছর এই সময় কলকাতায় চিকেনের দাম ছিল ২২০-২৩০ টাকা। এবার সেটা দাঁড়িয়েছে ৩০০টা🔥কা কেজি। খাসির মাংসের দাম ৮৫০-৮৮০ টাকা প্রতি কেজি।
এদিকে꧂ ক্রেতাদের দাবি, মুরগির মাংসতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেও ২৫০টাকা কেজি কিনেছিলাম। সেই মাংসের দামই হয়ে গিয়েছে ৩০০ টাকা। চিকেন খাওয়া কমাতে বাধ্য হচ্ছি। এত দাম দিয়ে চিকেন কেনা সম্ভব নয়। একেবারে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে ব্যাপারটা।
তবে ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এখন বিয়ের মরসুম। সেখানেও মুরগির মাংসের চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুরগির মাংসের অত যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। তার জেরেও দাম ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে সমস্যায় পড়েছেন ফাস্ট ফুড, চিকেন বিরিয়ানির দোকানের মাল♑িকরাও। এভাবে মুরগির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই চিকেনের পদের দাম বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। নাহলে তারা কম দামে চিকেনের পদ বিক্রি করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে শুধু মুরগির দামই নয়, এবার চিকেন বিরিয়ানির দামও বাড়তে পারে বলে খবর।