তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে আর একটি প্রতিশ্রুতি রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উদ্বাস্তুদের জমির স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে জমির দলিল দিলেন ২ লক্ষ মানুষকে। মতুয়াদেরও জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজও তিনি ফের ভূমি সংস্কার দফতরকে কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করলেন।ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন ভূমি দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক করে তাঁর কড়া বার্তা, ‘মানুষ বিভিন্ন কাজে প্রায়ই ভূমি দফতরের দ্বারস্থ হন। আপনারা তাঁদের ফিরিয়ে না দিয়ে কাজটা করে দেবেন। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার নয়, নিয়ম মেনে কাজ করবেন। অনেক সংগ্রামের পর নিজের জমির অধিকার লাভ করেছেন উদ্বাস্তুরা। কলোনি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। বেসরকারি জমি থেকে উদ্বাস্তুদের উচ্ছেদ নয়। বাংলায় ২৬১ উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একটি পৃথক আইন করেছি। বস্তিবাসীদের জমিও দখল করা যাবে না। বাংলায় সব উদ্বাস্তুরা নিজের জমি ও ঘর পাবেন। চা শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প তৈরি করেছি।’ উল্লেখ্য, আগেও ভূমি সংস্কার দফতরের ঘুঘুর বাসা ভাঙা হবে বলে দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে উদ্বাস্তুদের সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় জমির দলিল। এই কাজ কেন আরও আগে করা হল না বলে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেথেন, ‘আমরা উদ্বাস্তুরা জমি পাচ্ছেন তার বিরোধী নই। কিন্তু এত দেরি করে করা হল কেন? যখন রাজ্যের পুরসভাগুলির নির্বাচন ঠিক তার প্রাক্কালে এই জমির দলিল দেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির সামিল।’ এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মতো টাকা বাংলাকে দেয় না কেন্দ্র। রাজ্যগুলি থেকে টাকা আদায় করে কেন্দ্র। সেই টাকা থেকে ইউপি–কে বেশি করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভোট এলেই কেউ কেউ গেরুয়া পড়ে টিভিতে মুখ দেখাচ্ছে। গেরুয়া পড়লে সাধু হওয়া যায় না। সাধু হতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হয়। ভোটের সময় কোয়েল–দোয়েল নিয়ে চলে আসছে। ভোট চলে গেলে সব কিছু হাওয়া হয়ে যায়। ভোট এলেই এরা নেতাজি–আম্বেদকরকে স্মরণ করে।’