বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর পুরুষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলা একটা ‘ধারণা’। মহিলারা এভাবে পুরুষের বিরুদ্ধে আইনকে ব্যবহার করতে পারেন না। জোরালো প্রমাণ না থাকলে সহমতির ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পর তাকে ধর্ষণ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হা🥃ইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার একটি মামলায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। এর আগেও দেশের একাধিক হাইকোর্ট বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এবার একই প্রশ্ন তুলে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের এক মহিলা বিচারপতি।
আরও পড়ুন - কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে আদালতে সঞ্জয়, রাস্তায় গ্রিন করিডর, মুখ খুলতে♏ই নয়া ব্যবস্থা?
পড়তে থাকুন - সব ক্রিয়ার 🌳প্রতিক্রিয়া আছে,বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন প্রতিবাদ সভায় বললেন শ🍌ুভেন্দু
২০১১ সালের ১২ জুলাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত দায়রা আদালত। ধর্ষণের দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান অভিযুক্ত। 🐻হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। সেই মামলায় বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও একজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ♕ সজ্ঞানে সহমতির ভিত্তিতে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পর তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করা যায় না। এক্ষেত্রে প্রতারণার অভিযোগ আনতে গেলে অভিযোগকারিনীকে অকাট্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়া কোনও মহিলা কখনও দাবি করতে পারেন না যে কোনও পুরুষ তাঁর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন।’
আরও পড়ুন - আ�♒�ধারে বিশ্বাস নেই মমতার,সেই আধারে ভরসা করেই ট্যাব প্রতারণা রোখার চেষ্টা নবান্নের
বিচারপ෴তি বলেছেন, ‘এই মামলায় অভিযোগকারিনীর বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিজেই বলেছেন যে তিনি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছেন। কোনও প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করেননি তিনি। আবার সেই পুরুষের বিরুদ্ধেই তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করছেন। এভাবে বহু পুরুষকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়। মহিলারা পুরুষের বিরুদ্ধে আইনকে এভাবে ব্যবহার করতে পারেন না।’