পুলিশের অভিধানে একটা শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল সোর্স। যে থানার সোর্স যত ভালো সেখানে পুলিশের পক্ষে আগাম খবর পাওয়া ততটাই সুবিধাজনক হয়। এমনকী একাধিক থানা রয়েছে যেখানে হয়তো বড়বাবুর সোর্স সেভাবে শক্তপোক্ত নয়। কি🐓ন্তু থানার এক কনস্টেবলের মারাত্মক সোর্স। আর তিনিই হয়ে ওঠেন বড়বাবুর চোখের মণি। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতার একাধিক ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশের সোর্স কার্যত তলানিতে চলে গিয়েছে। এমনটাই মত অনেকের।
আরজিকরে তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের সেমিনার রুমের ভেতর খুনের ঘটনা কার্যত লজ্জায় ফেলে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। আর সেই ঘটনায় যার নাম জড়ায় সে আর কেউ নয়, কলকাতা পুলিশেরই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বর্꧑তমানে সে জেলবন্দি। কিন্তু তারপর থেকেই নানা প্রশ্ন।
তবে ড্যামেজ কন্ট্রোল পুরোপুরি করার আগেই সামনে এল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের চেষ্𒐪টা। দেখা গেল বিহার থেকে দুষ্কৃতী এসে ডেরা নিয়েছিল কলকাতায়। মুঙ্গের থেকে এসেছিল অস্ত্র। এখানেই প্রশ্ন, অস্ত্র এল, দুষ্কৃতী এল কিন্তু কলকাতা পুলিশের সোর্স কোনও খবরই দিল না! এটা কেমন কথা!
বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় কোথাও আগ্নেয়াস্ত্র এলে তা খবর আসে পুলিশের কাছে। কোথাও কেউ অপরাধ করার জন্য় জড়ো হলে খবর আসে পুলিশের কাছে। কেউ অপরাধ করার ষড়যন্ত্র করলে খবর আসে পুলিশের কাছে। আর এগুলি সম্ভব হয় পুলিশের নেটওয়ার্ক শ্ক্তিশালী হওয়ার জন্য। আর নেটওয়ার্ক দুর্বল হলেই পুলিশকে পদে পদে পস্তাতে হয়।