𝓰 দেড় বছরের মধ্যেই কলকাতার দোরগোড়ায় চলে আসবে পাইপের গ্যাস। বেঙ্গল গ্যাসের (গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই ও গেইল) সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাইপবাহিত গ্যাস (কম্প্রেসড ন্যাচারল গ্যাস বা সিএনজি) চলে আসবে কলকাতার লাগোয়া নিউ টাউনে। যে পাইপলাইন ধাপে-ধাপে ইএম বাইপাস লাগোয়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। অর্থাৎ চিংড়িঘাটা থেকে শহরতলির গড়িয়া পর্যন্ত এলাকায় যাঁরা আছেন, তাঁরা পাইপের মাধ্যমে গ্যাস পাবেন। তবে কলকাতা শহরে কবে গ্যাস পৌঁছাবে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। আপাতত সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
গয়েশপুর পর্যন্ত এসে গিয়েছে পাইপলাইন
𒐪বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের মধ্যেই বণিকসভা অ্যাসোচেমের আলোচনাসভায় বেঙ্গল গ্যাসের সিইও তথা গেইলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইন চলে এসেছে। এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ব্যারাকপুর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর পৌঁছে যাবে নিউ টাউনে। আপাতত নিউ টাউনের অভ্যন্তরীণ পাইপলাইন পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। হলদিরামের কাছে পাইপলাইন পৌঁছালেই নিউ টাউনে পরিষেবা চালু করে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গল গ্যাসের সিইও।
ꦐযদিও বেঙ্গল গ্যাসের সিইও মনে করছেন, বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেটের মধ্যে পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। কাজের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের থেকে অনুমোদন মিলে গিয়েছে।কিন্তু এরকম যানজটপূর্ণ রাস্তা খোঁড়ার কাজটা মোটেও সহজ হবে না। বরং সেই কাজটা কঠিন হতে পারে। আর সরকারের অন্যান্য দফতরের থেকেও অনুমোদন চাই বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপাতত ৭৯৫ কিমি পাইপলাইন বসানো হয়েছে
🐻তারইমধ্যে বুধবার বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহের জন্য আপাতত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। সেজন্য খরচ পড়েছে ৫,৩২২ কোটি টাকা। কিন্তু বাকি অংশের কাজ কবে শেষ হবে, কলকাতায় কবে পাইপবাহিত গ্যাস পৌঁছাবে, তা খোলসা করতে পারেননি অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী।
পুনর্নবীকরণ শক্তির উপরে জোর রাজ্যের
♏এমনিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মতোই পুনর্নবীকরণ শক্তির উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্যে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়, সেটার ২০ শতাংশ যাতে অচিরাচরিত বা পুনর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কৃষিক্ষেত্রে যে পাম্প ব্যবহার করা হয়, তা যাতে সৌরশক্তির মাধ্যমে চালানো যায়, সেটার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।