এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এই রাজ্যের মানুষের দুয়ারে আসতে চাইছেন। তবে কোনও পরিষেবা নিয়ে নয়। নিজের কথা জানাতে এবং রাজ্যর কথা মানুষের সামনে তুলে ধরতে। তাই এবার রাজ্যবাসীর কাছাকাছি পৌঁছতে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল শুরু করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০২০ সাল থেকে এই চ্যানেল চালু হলেও মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে তাঁকে ব্লক করার পর বিষযটি তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন।কী দেখানো হবে এই চ্যানেলে? সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সমস্ত বৈঠক থেকে শুরু করে ভিডিও বার্তা বা সাংবাদিক বৈঠক এখানে থাকবে। এই চ্যানেলটিতে রাজ্যপালের সমস্ত বক্তব্য ভিডিও আকারে রয়েছে। রাজ্যপালের কোনও ঘোষণা, কোনও বক্তব্য, সবই থাকবে এই চ্যানেলে। এখনও পর্যন্ত মোট ১০টি ভিডিও এখানে আপলোড করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যপাল কি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন? সাংবিধানিক প্রধান হয়ে এই কাজ তিনিই প্রথম করলেন। কারণ আর কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল এমন কাজ করেননি। শুধু তাই নয়, এই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে অর্থ কোথা থেকে এলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই বিষয়ে সাফাই দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক প্রধান। তিনি যদি মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন, তাহলে করতেই পারেন। ফেসবুক, টুইট্যার, ইউটিউব এই তিনটে মাধ্যম ব্যবহার করাই যায়। এতে দোষের কিছু নেই। এতে ভুল কিছু নেই।’ এখন দেখার এই নি্যে জল কতদূর গড়ায়।