এমনটাও কি সম্ভব? এই প্রশ্ন উঠছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের মাধ্🃏যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের আজব আবদার ও তার জেরে স্কুল চত্বরেই ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ওই বেসরকারি ꧟স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি ছিল, তাদের সহপাঠীরা অন্য যে স্কুলে মাধ্যমিক দিচ্ছে, স😼েখানকার গার্ড খুবই ঢিলেঢালা। তাই, তারা সহজেই টুকলি করতে পারছে! কিন্তু, বাকি যাদের অন্য একটি স্কুলে মাধ্যমিকের সিট পড়েছে তারা এই 'সুবিধা' পাচ্ছে না। কারণ, সেখানকার গার্ড কড়া!
তাই নি൲জেদের স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মাধ্যমিকে টুকলির সুবিধা না পাওয়া পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার ভেন্যু বদলের দাবি জানিয়েছিল। আর তার জেরেই🐼 যত অশান্তি।
সংশ্লিষ্ট বেসরকারি স্কুলের মালিক মিল্টন বিশ্বাস এবং স্থানীয় সূত্র উদ্ধৃত করে যে প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেই অনুসারে - এবারের মাধ্যমিকে ওই বেসরকারি স্কুল থেকে প্রায় ১২০ জন ছাত্রছাত্রী দশ🍎ম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিচ্ছে।
সূত্রের দাবি, এদ🌃ের মধ্যে যাদের সিট কাঞ্চনতলা হাইস্কুলে পড়েছে,♔ তারা প্রথম দিন থেকেই অবাধে টোকাটুকি করতে পারছে। কিন্তু, সুতির বাঙ্গাবাড়ি হাই স্কুলে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার পড়েছে, তারা কড়া গার্ডের কারণে তেমনটা করতে পারছে না।
স্কুলের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বলে দাবি করা♎ হচ্ছে। কেন তারাও টুকলি করতে পারবে না, এটাই নাকি তার ক্ষোভের কারণ!
ওই ছাত্রের দাবি, তারা তাদের স্কুলের মালিক মিল্টন বিশ্বাসকে বলেছিল, যাতে বাঙ্গাবাড়ি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের জন্য টুকলি চালানোর ব্যবস্থা করে 🦂দেন! বা মাধ্যমিকের ভেন্যুই বদলে 🔜দেন! কিন্তু, বেসরকারি স্কুলের মালিকপক্ষ সেই দাবি মানেনি।
এদিকে, শনিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার পর এ নিয়ে কথা বলতে সটান স্কুলে হাজির হয় টুকলির সুবিধা না পাওয়া কয়েকজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাদের দাবি সেই সময় নাকি স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির তরফ থেকে তাদের উপর হামলা চালানো হয়! আর, তার জেরেই নাকি স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক পরীক্ষ🐬ার্থীদের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবং তাতে অন্তত চারজন ছাত্র আহত হয়।
অন্যদিকে স্কুলের মালিক মিল্টন বিশ্বাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একাংশ অনৈতিক এবং বেআইনি দ♍াবি করছে। যা একেবারেই প্রশ্রয় দেওয়া ꦑহবে না।
মিল্টনের আরও অভিযোগ, স্কুলের অবস্থান স💟্পষ্ট করার পরও কিছু পরীক্ষার্থী এ নিয়ে দরবার করছে। এবার তাই সমস্ত পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদেরকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গেই এই বিষয়ে কথা বলা হবে। মিল্টন পড়ুয়াদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।