পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটল নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতের দিকে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে মহাক🉐ুম্ভ মেলার যাওয়ার জন্য শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে প্রবল ভিড় ছিল। এমনিতেই সেই স্টেশনে দিনভর ভিড় থাকে। শনিবার রাতে মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার জন্য পুরো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তার জেরে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটেছে। এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির দমকল বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে ওই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
৩ মহিলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে, সূত্রের খবর
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে শনিবার রাত ৯ টা ৫৫ মিনিট নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ১৪ নম্বর এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন এবং উদ্ধারকারী দল চলে আসে বলে জানিয়েছেন দিল্লির দমকল বাহিনীর প্রধান অতুল গর্গ। 🤪সূত্রের খবর, তিন মহিলাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় ১৭৪ কোটি টাকার সোনা চুরিতেꦿ অভিযুক্ত, ভারতে হদিশ মিলল সি🍬মরানের- রিপোর্ট
সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি পদপিষ্টের মতো ঘটনায়
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঠিক কী কারণে ওরকম বিশৃঙ্খলাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে যে ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় যাওয়ার ট্রেন ধরার জন্যই স্টেশনে ভিড় উপচে পড়ে। যে মহাকুম্ভ মেলা প্রায় শেষের মুখে চলে এসেছে।ꦐ তার আগে পুণ্যস্নান সারতে চাইছেন প🔯ুণ্যার্থীরা।
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা
উল্লেখ্য, এর আগে মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। মৌনী অমাবস্যার দিনে প্রয়াগর🔥াজের ত্রিবেণী সংগম লাগোয়া এলাকায় সেই ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানান, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জন। যদিও আদতে আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করেছেন।
সেই ঘটনার জন্য বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক ও মুখপাত্র অংশু আওয়াস্তি অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকারের অব্যবস্থার জন্য এরকম ♛ঘটনা ঘটেছে। মানুষের জীবনের উপরে গুরুত্ব না দিয়ে মহাকুম্ভ মেলায় বিজেপি সরকার ফোটোসেশন করতে ব্যস্ত ছিল। যে মন্ত্রীদের উপরে সুষ্ঠুভাবে মেলা আয়োজনের দায়িত্ব ছিল, তাঁরা নিমন্ত্রণের 'নাটকে' ব্যস্ত ছিলেন। পুণ্যস্নানের সময় ভিআইপি সংস্কৃতিতেও ইতি টানার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক।