মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের হরদমনগর গ্রাম। আচমকাই শেয়ালের পালের হামলা। একজন, দুজন নয়, একেবারে ৪৮জন গ্রামবাসী আহত হয়েছিলেন শিয়ালের হামলায়। আহতদের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এবার সেই শেয়ালকাণ্ড পৌঁছে গেল বিধানসভাতেও। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন এনিয়ে বিধানসভায় নালিশ জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই এখনও সেদিনের ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারছেন না। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই এলাকায় শেয়াল দেখা যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে একেবারে ২০-২২টি শেয়ালের দল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় অতর্কিতে হামলা। সামনে যাকে পেয়েছে তার উপরই ঝাঁপিয়ে পড়ে শেয়ালের দল। একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। একজনের আঙুলও শেয়াল কেটে নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দু একজনকে টেনে নিয়ে জঙ্গলের দিকেও যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কয়েকটি শেয়াল। এদিকে তারপর থেকেই ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের। অনেকেই আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরতে চাইছেন না। বিধায়ক তাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। আরও বেশি করে ভ্যাকসিন পাঠানোর জন্য বলেছি। শেয়ালের হানা ঠেকাতে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেব্যাপারেও আবেদন করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর থেকে বেরতে চাইছেন না। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই লাঠি নিয়ে শেয়াল মারতে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই তিনটে শেয়াল লাঠির আঘাতে মারা গিয়েছে।