খাস কলকাতায় আবারও জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গেল। শুক্রবার বেশি রাতে যাদবপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তবে মৃতদেহের সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সকালেও জোর চর্চা💛 শুরু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। এখানে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন স্ত্রী বলে খবর। আর এই চিকিৎসার বিপুল খরচ টানা সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ চাকরি না থাকায় রোজগার ছিল না স্বামীর। তাই প্রবল অর্থকষ্টে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে খিটমিট লেগে থাকত। আর সেখান থেকেই মানসিক অবসাদ। শেষে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনের মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল।
ঠিক কী ঘটেছে যাদবপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। যাদবপুর থানা এলাকায় চিত্তরঞ্জন কলোনিতে দাম্পত্য জীবনের মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। খুন হওয়া স্ত্রীর নাম জলি প্রসাদ (৫৭)। ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁকেই খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বৈজনাথ প্রসাদের বিরুদ্ধে। খুন করার পর বৈজনাথ প্রসাদ (৬২) নিজেও আত্মঘাতী হন। তবে একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে গিয়েছেন দ🔯ম্পতি। বৈজনাথ প্রসাদ পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। একটি বেসরকারি সংস্থﷺায় গাড়ি চালাতেন। তাঁর স্ত্রী জলি বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড 🔯নোটে নিজের খুনের কথা স্বীকার করে গ🐟িয়েছেন স্বামী বৈজনাথ প্রসাদ। আর সুইসাইড নোটে তিনি এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করেননি। যাদবপুরের চিত্তরঞ্জন কলোনি এলাকায় শুক্রবার রা♚তে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম বৈজনাথ প্রসাদ (৬২) এবং জলি প্রসাদ (৫৭)। চিত্তরঞ্জন কলোনির একটি একচালা ঘরে থাকতেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেই আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী বৈজনাথ।